রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন আজ (রোববার)। তাই তো নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে রঙিন আল্পনায় সেজেছে ৭৫ একরের বেরোবি প্রাঙ্গন। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এ যেন এক অন্যরকম আমেজ।
নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানটি শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য এক উৎসবের মতো। নবীনদের স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রঙিন আলপনায় সাজানো হয়। এই আলপনাগুলো শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এতে বিভিন্ন বাণী ও শুভেচ্ছা লেখা থাকে যা নবীনদের জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়।
নবীনবরণ অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবীনরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ পায়। আলপনা এই অনুষ্ঠানকে আরো আনন্দময় করে তোলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলেমিশে এই আলপনা আঁকেন। আলপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য তুলে ধরা হয়। এই রঙিন আলপনা ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে নবীনদের স্বাগত জানায়। নবীনদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। নবীনরাও এই আলপনা দেখে খুব উচ্ছ্বসিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
নবীনদের বরণ অনুষ্ঠানে রং-বেরঙের আলপনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ প্রদান করে। এই আলপনা শুধু সুন্দর নয়, এটি একটি শৈল্পিক সৃষ্টি যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো বর্ণিল আয়োজনে মেতে উঠেছে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নবীনদের বরণ করার জন্য আলপনায় সজ্জিত হয়েছে ক্যাম্পাস ও বিভাগগুলো। এগুলো শুধু নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্যই আনন্দের নয়, বরং পুরাতন শিক্ষার্থীদের জন্যও আনন্দের।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ বলেন, আমাদের জন্য আলপনা শুধু একটা ছবি নয়, এটা আমাদের গল্প। আমরা এই আলপনার মাধ্যমে নবীনদেরকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাদ কেমন তা জানাতে চাই। আমরা চাই, তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদেরকে খুঁজে পাক। আলপনা আঁকার সময় আমরা অনেক মজা করি। এ কাজের মধ্যে দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়। আমরা চাই, নবীনরা যখন এই আলপনা দেখবে, তখন তাদের মনে একটা উৎসাহ জাগবে।