২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন যা চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ এছাড়া এবারে ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে না মুক্তিযোদ্ধা নাতি–নাতনী কোটা৷
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির এক সভা এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৯-১৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে৷ ১৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন৷ অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা আবার বসব। ইউনিটভিত্তিক কত আবেদন পড়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া আগের বছরের মতো এ বছরও সেকেন্ড টাইমারদের জন্য পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ বহাল থাকছে।
পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এবার সব মিলিয়ে ১০টি ইউনিটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক অনুষদ ও ইনস্টিটিউট আলাদা আলাদা ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷
যেখানে ‘এ’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ, ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের, ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা ও মানবিকী অনুষদ, ‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদ, ‘ই’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ‘এফ’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত আইন ও বিচার বিভাগ নিয়ে গঠিত আইন অনুষদ৷
এভহাড়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির পরীক্ষা ‘এইচ’ ইউনিটে নেওয়া হবে৷ তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা 'আই’ ইউনিটে নেওয়া হবে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ-জেইউ) ভর্তির জন্য আলাদাভাবে ‘জি’ ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে না মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনি কোটা। তবে পোষ্য ও ভিসি কোটার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা গণমাধ্যমকে জানান, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনি কোটা পদ্ধতি বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো পোষ্য কোটা ও ভিসি কোটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷