২৪-এর এই বিপ্লবের পূর্বে বাংলাদেশে বহুবার বিপ্লব হয়েছিল কিন্তু প্রত্যেকবার বিপ্লবের আসল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল এবং দেশের মানুষের জীবন দিয়ে অর্জন করা বিপ্লবকে লুট করা হয়েছিল। আর আসল বিপ্লবীরা হারিয়ে গিয়েছিল বিপ্লব শেষে। এজন্যই শেখ হাসিনার মত ফ্যাসিস্ট দেশে বার বার প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিল। নতুন বাংলাদেশে কাউকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। এজন্য দেশ গঠনে সামনের দিনগুলোতে বিপ্লবীদের প্রয়োজন।
‘যুক্তির শানে ভাঙবো শৃঙ্খল, হবো মুক্ত প্রাণ’ স্লোগানে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত '২য় পলাশি বিতর্ক যুদ্ধ ২৪' এ স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সম্বনায়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
তিনি বলেন, আমাদের এই বিজয় অর্জনের পেছনে যারা প্রকৃত সৈনিক তাদের হাতে আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পাওয়ার পরে আবার ১৯৭৩ এর মত ভোট চুরি ও বাকশাল আমরা আমাদের দেশে আর দেখতে চাই না। জীবন দিয়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার আমরা পরিবর্তিত এক বাংলাদেশ দেখতে চাই।
তিনি বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে অনেককে যখন বলতে দেখি বাবার আগে সন্তান এগিয়ে গেলে দেশ রসাতলে যাবে, তখন আমরা আহত হই। কেননা যখন দেশের প্রয়োজন ছিল তখন এই সন্তানরাই জীবন দিয়ে প্রথমে সামনে এগিয়ে এসেছিল। ২৪ এর অভ্যুত্থানও যদি পূর্বের অভুত্থান গুলোর মতো ব্যর্থ হয় তাহলে এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই এই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল ডিবেটিং ক্লাবের উদ্যোগে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলে মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক যুদ্ধ যেখানে দেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি দলের অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়।
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফিরোজ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আবুল বাশার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যন্যা ব্যক্তিবর্গ।
অতিথিগণ বিতর্কের গুরুত্ব এবং বিতর্কের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যুক্তিখণ্ডনের যোগ্যতা এবং বিরুপ পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের এ ধরণের শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রমে বেশি বেশি সংযুক্ত থাকার আহ্বান জানান তারা।