বিগত কয়েকদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং ১২০ জনকে অজ্ঞাত মামলা দিয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মশিউর রহমান পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক খালিদ শেখ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। তিনি মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করেন তারা হলো শাখা সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মী ছোট তরিকুল, সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মী কামরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম টিটন ও হাসান আহমেদ খান।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের সহায়তায় অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগের কর্মীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন জবি বাংলা বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাঈম আল অদম্য, রসায়ন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের আবু সায়েম। এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির অভিযানে রামদা সহ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল জানান, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা দুজনকে পুলিশে দিয়েছি। পুলিশকে বলা হয়েছে কোনো ধরনের নাশকতার আলামত পেলেই গ্রেফতার করতে।
এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের ডিসি ইব্রাহীম খান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ যেতে পারে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতে পারে এ আশঙ্কায় আমরা মামলা করেছি।'
এ বিষয়ে জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, 'প্রক্টরকে বলে দিয়েছি আজকে হেলমেট পরিহিত এবং কোনো ধরনের অস্ত্র হাতে দেখলে সাথে সাথে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে।'