জাবিতে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 00:16:16

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে দুই ছাত্রীসহ সাত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বলছেন, 'র‌্যাগিং নয় আমরা নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচিত হতে গিয়েছিলাম।'

এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, কিফায়াত সাদমান ইশাদী, রুবাইয়া বিনতে হাশেম, অংকন ভদ্র, মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান সরকার, নাসজাসী সুলতান, মোহাম্মাদ রাকিব হোসেন ও তানভীর আহমেদ শুভ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বহিষ্কৃতরা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না। একই সঙ্গে তারা কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলে জানা যায়।

জানা গেছে, গত সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের নতুন ভর্তিকৃত ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজের পেছনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় সিন্ডিকেট সভা।

র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'ওইদিন দুপুর দেড়টায় নবীন শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল এন্ড কলেজের পেছনে নেয়ার খবর জানতে পারি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খবরের সত্যতা পাই। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা কি উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়ে গেছে সেটা বড় বিষয় নয়। নবীন শিক্ষার্থীদের নির্জন বা দূরের কোনো স্থানে নেয়াই হলো অপরাধ। যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। এই অপরাধের জন্য এক বছরের বহিষ্কারের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। যেহেতু তারা বিভাগ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের অনেক দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।'

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, 'নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ বা কোন ধরনের নির্যাতন করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা শুধুমাত্র তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, 'পরিচিত হওয়ার নামে ৪৭ ব্যাচ ৪৮ ব্যাচের সাথে যেটা করলো তার শাস্তি তারা পেয়েছে। আমরা এতকিছু করলাম শুধু র‌্যাগিং বন্ধ করার জন্য অথচ তারপরও তারা এটা করলো। আমাদেরকে র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর