২১ বছর ধরে হচ্ছে না শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করেছে। পরবর্তীতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা হতে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাযিরুল আজম বিশ্বাসের পরিচালনায় ও আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য মো. মঈনদ্দিন মিয়া, তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, কর্মী সদস্য ইউশা রশিদ ইফাজ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, '১৯৯৭ সাল থেকে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার বাস্তবায়নের প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত শাকসু ও হল ছাত্র সংসদ কে অচল করে রাখা হয়েছে। আজ এটা দিনের আলোর মত সত্য যে,বিভিন্ন সময়ে ছাত্র স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত ,নীতিমালা বা কৌশলপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই একে অচল করে রাখা হয়েছে।'
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, 'দফায় দফায় বেতন ফি বা ক্রেডিট ফি বৃদ্ধি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারী ও অগণতান্ত্রিক নিয়ম চালু এবং শিক্ষাকে ক্রমাগত বাণিজ্যিক ও বেসরকারিকরণের জন্য ইউজিসি ও বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা প্রশাসনগুলোর উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে। একই ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনো বাতিল হয়নি। বিপরীতে শিক্ষার্থীদের নানামুখী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।'
বক্তারা বলেন, 'শাবিপ্রবিকে সত্যিই উন্নত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হলে সেজন্য গণতান্ত্রিক অধিকার,মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে একটি উন্নত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নির্মাণ করতে হবে।'
এরপর আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্রের নেতৃত্বে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের সূতিকাগার শাকসু’র নির্বাচন অতিসত্বর দিয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয় প্রশাসনের নিকট।