বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাসের শহীদ মিনার থেকে এই মশাল মিছিল শুরু হয়। এই সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিকালে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নীরবতা পালন করেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৭মার্চ) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনার পরেও হলে অবস্থান করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ঐ সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি ফিরিস্তি তুলে ধরেন তারা।
প্রসঙ্গত, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ক্যাম্পাসে চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা ঐদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে প্রতিবাদ জানান।
এই ঘটনায় উপাচার্য ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এরই প্রতিবাদে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।