রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকের দুর্নীতিতে বিপাকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জাককানইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 10:23:24

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) রেজিস্ট্রার ও এক শিক্ষকের দুর্নীতিতে বিপাকে পড়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান।

এরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী।

অভিযোগ আছে, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পেতে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর। আর একটি প্রকল্পে চীন থেকে আনা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিভাগীয় প্রধান ও গবেষক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে নিজের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে নিজের মতো নিয়ম করার চেষ্টা করছেন। যদিও তার প্রচেস্টায় বাধা হয়ে দাঁড়ান বিভাগের বর্তমান প্রধান ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী। তবে আশরাফ আলীকে ঘায়েল করতে তার প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন কবীর।

ড. আশরাফ আলী প্রকল্পের জন্য চীন থেকে আনা অর্থ তিন কিস্তিতে মোট এক কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ টাকা উত্তোলন করেন। যা উত্তোলন ও সংরক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এসটিডি হিসাব-৩৩২৮২০৩০০০০২৪ ও এসটিডি হিসাব-৩৩২৮২০৩০০০০০২ ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে এসটিডি হিসাব-৩৩২৮২০৩০০০০২৪ থেকে অর্থ উত্তোলন করতে হলে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তরের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর প্রয়োজন হলেও তা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মৌখিকভাবে মোট অর্থের ৪ শতাংশ কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য। যদিও বিষয়টি আমি জানতাম না। আমার জানামতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ শতাংশ কাটা হয়। আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ২-৩ শতাংশ কাটা হয়। আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে আসা ফান্ড থেকে অর্থ কাটা হয় না।’

শিক্ষক নিয়োগ ও প্রকল্পের অস্বচ্ছতা নিয়ে ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার (হুমায়ুন) আমার বিভাগের শিক্ষক হতে রাজনীতি করছেন। তার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক হতে চাওয়াটা অন্যায়। আর আমি তা মানবোও না। তাই আমাকে সরানোর জন্য সে আমার প্রকল্পের পেছনে লেগেছে। কারণ, আমাকে সরাতে পারলে তার রাস্তা পরিষ্কার হয়।’

তবে রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতির মধ্যে নেই। প্রশাসনের যা দরকার সেটা মনে করেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু-নীলদলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দে সিধু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যদি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি শর্তও অমান্য করা হয় তাহলে সেই নিয়োগ হওয়া উচিত নয়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের বাইরে কোনো কিছু হতে পারে না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর