বেরোবিতে কর্মচারীদের আন্দোলনে স্থবির কার্যক্রম

, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-10 16:54:56

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নতুন প্রক্টর নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা সমাবেশ বন্ধের ঘোষণায় প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। একই সঙ্গে আন্দোলনরত কর্মচারীদের ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষক সমিতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

এদিকে নতুন প্রক্টরের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীরা টানা চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রাখায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্কের মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তারা নতুন প্রক্টরের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন প্রশাসনিক ভবন চত্বর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) একই স্থানে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তারা।

এ সময় কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মাহাবুবার রহমান অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গণযোগাযোগ বিভাগের সহকারী শিক্ষক তাবিউর রহমানের নেতৃত্বে বেশি কিছু শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা তাদেও ওপর হামলা চালিয়ে দশজন কর্মচারীকে আহত করেন। এ ঘটনার বিচার না করে উল্টো মধ্যরাতে প্রক্টর ফরিদুল ইসলামকে অপসারণ করে সহকারী প্রক্টর আতিউর রহমানকে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করার পায়তারা চালানো হচ্ছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা শিক্ষক তাবিউর রহমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এদিকে মঙ্গলবার হামলার ঘটনার পর নতুন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক আতিউর রহমানকে প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) নিয়োগ দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, 'ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন প্রক্টরও নিয়োগ দেয়া হয়েছে'।

গত রোববার (২৩ জুন) থেকে কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা কর্মচারীবান্ধব পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, দশম গ্রেডপ্রাপ্ত ২৫ জন কর্মকর্তাকে পদমর্যাদা প্রদান ও মাস্টার রোল কর্মচারীদেরও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগঠন কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর