জবিতে অনশনে ১১ শিক্ষার্থী, উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উপাচার্যের

বিবিধ, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-31 09:32:07

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১১ শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষার্থীদের অনশনে বসার উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে উপাচার্য মীজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে অনুসারে কাজও শুরু হয়েছে। তাহলে আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী?’

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যানটিনের খাবারের দাম কমানো ও মান উন্নয়ন, বাসের ডাবল শিফট চালু, ছাত্র সংসদ আইন প্রণয়ন, ছাত্রী হল চালু, শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শুরু করা ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনশনে শিক্ষার্থীরা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

দাবিগুলো নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘স্মারকলিপি দেওযার পরেই সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছি। ক্যান্টিন সংস্কার করে খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমিয়েছি, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের যে দাবি, সেদিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া নতুন ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণের জন্যও কাজ চলছে।’

তবে জকসু নির্বাচন ও বাসের ডাবল শিফট চালুর দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসুর কোনো আইন নেই। আমরা আইন করার সুপারিশ করতে কমিটিও করেছি। কিন্তু এ বছরই জকসু নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। এখন গুরুত্ব দিচ্ছি জবির প্রথম সমাবর্তনে।’

‘ডাবল শিফট চালু করাও সম্ভব নয়। কারণ একটা গাড়ি ক্যাম্পাস থেকে দুপরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছেড়ে গেলে, এই গাড়ি ফিরে এসে আবার সাড়ে ৩টায় আরেক শিফট ধরতে পারবে না। এজন্য গাড়ির সংখ্যা বাড়াচ্ছি।’

সংস্কারকৃত জবি ক্যানটিন/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

তবে উপাচার্যের এসব বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ইতোপূর্বে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের সময় উপাচার্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন করেননি। উপাচার্যের মুখের আশ্বাস বিশ্বাস করি না। লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিলে ভেবে দেখব।’

অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আন্দোলনের আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরাম হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তৌসিফ মাহমুদ সোহান, ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবু বকর, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শরিফুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের হিরা, প্রথম বর্ষের রাহুল দেব, রিয়াদ ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের তোফায়েল আহমেদ ও সুমন মিয়া।

এ সম্পর্কিত আরও খবর