যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সব কার্যক্রম আগামী দুই বছরের মধ্যে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা তিনটি বিভাগের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসবে। কোন শিক্ষককে হাজিরা খাতা নিয়ে ক্লাসে যাওয়া লাগবে না। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ফেস রিডিংয়ের মাধ্যমে তার উপস্থিতি কাউন্ট হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের অবহিত করে বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর অনেক কালোছায়া ছিল, ধীরে ধীরে সেগুলো দূর করতে সক্ষম হয়েছি। আমি শেষ পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবেই থাকতে চাই। আমাকে কেউ ভাইস চ্যান্সেলর বা প্রশাসক বানাবেন না। তাহলে কারোর জন্য শুভকর হবে না।
অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. কিশোর মজুমদার, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক প্রভাষ চন্দ্র রায়, প্রভাষক নাজমুস সাকিব, এস এম তানজিল শাহ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আলমগীর, জান্নাত জুঁই প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা রায় চৌধুরী ও সাকিব হাসান।
বিকেলে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।