বুয়েট শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়, ফেটে গেছে কানের পর্দা!

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-22 08:37:21

বাংলাদেশ প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তথা সিনিয়রদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিজিৎ কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়ছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলের ২০৩ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার রাতে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে অভিজিৎ বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহসানউল্লাহ হলের ২০৫ নং গণরুমে সবাইকে ডাকা হয়। রুমে সেদিন ১৫ জনের মতো ছিল। আমরা রুমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ভাইরা (সিনিয়ররা) আসেন। তারা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের। আমাদের একটি লাইনে দাঁড়াতে বলেন। আমরা সবাই দাঁড়াই।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারপর একজন একজন করে সামনে ডাকা হয়। একটা ছেলের দাড়ি রাখার জন্য থাপ্পড় মারা হয়। আরেকটা ছেলে নাকি কবে কোন বড়ো ভাইকে সালাম দেয় নাই, এর জন্য ওর গায়ে হাত তোলা হয়। কয়েক জনের পর আমাকে ডাকা হয়। সৌমিত্র লাহিড়ী (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমাকে জিজ্ঞেস করেন- আমার চুল বড়ো কেন, শেষ কবে চুল কাটিয়েছি? আবার জিজ্ঞেস করেন চুল বড়ো কেন? এই প্রশ্নের জবাব আমার কাছে ছিল না, তাই আমি চুপ করে নিচে তাকিয়েছিলাম। তখনই তিনি খুব জোরে আমার কানে একটা থাপ্পড় মারেন। আমি তখন কানে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করি। আমার অবস্থা তখন খারাপ হওয়ায় আমাকে রুমে পাঠিয়ে দেন।’

অভিজিৎ বলেন, ‘ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর ডাক্তার বলেন- আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে। কানের ভেতরে রক্ত জমেছে। বিষয়টা আমার আব্বুর সঙ্গে গিয়ে আমি আমাদের ছাত্রকল্যাণ নির্দেশক ড. মিজানুর রহমান স্যারের কাছে অভিযোগ করি।’

কিন্তু অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার কানের মধ্যে সবসময় শোঁ শোঁ আওয়াজ হচ্ছে। কি অপরাধ আমার? কি অন্যায় করেছি আমি? আমি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এটাই আমার অপরাধ?’

অভিযুক্ত সৌমিত্র লাহিড়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর