স্থায়ী কর্মচারীর অভাবে বেরোবির হল ডাইনিং বন্ধ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-31 01:30:50

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শহীদ মুখতার এলাহী হল খোলা থাকলেও দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ডাইনিং। ফলে খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

অভিযোগ আছে, স্থায়ী কর্মচারী না থাকা ও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত না খাওয়ায় ডাইনিং বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে নিয়মিত ডাইনিং চালু রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন হল সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত জুলাই থেকে হল ডাইনিং বন্ধ থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ক্যাফেটেরিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ের হোটেলে গিয়ে খাবার খেতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে বেশি অর্থ খরচ করে নিম্নমানের খাবার খেতে হচ্ছে তাদের।

হলের মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ে কাজ করে মাসিক মাত্র চার হাজার টাকা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব না। এখানে স্থায়ী চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাছাড়া অন্য দুই হলে দু’একজন স্থায়ী চাকরিজীবী কাজ করলেও মুখতার ইলাহী হলের ডাইনিংয়ে কোনো স্থায়ী কর্মচারী নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারী না থাকায় দিনভিত্তক কর্মচারীদের দিয়ে ডাইনিং চালানো হয়। কিন্তু অর্থাভাবে এসব কর্মচারীকে নিয়মিত বেতন দিতে পারে না হল কর্তৃপক্ষ।

আরো জানা গেছে, হলে অবস্থানরত অধিকাংশ ছাত্র অনাবাসিক, তাই হলের ফান্ডে কোনো টাকা না থাকায় কর্মচারীরা কাজ করার পরও নূন্যতম মজুরি পান না। আর যারা হলে থাকেন তাদের অনেকে রুমে রান্না করে খান।

মুখতার এলাহী হলের ডাইনিং কর্মচারী সুজন জানান, দৈনিক ২৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবার রান্না করা হয়। কিন্তু সবাই না খাওয়ায় মাসে ৩৫-৪০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়। এছাড়া হল প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ভর্তুকি না থাকায় কম বেতনে কাজ করা সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে মুখতার এলাহী হল ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এত কম বেতনে কর্মচারীদের চলা সম্ভব না। আমার নিজের ও শতাধিক সিট বৈধ করে দিয়েছি, যাতে কর্মচারীদের কিছু বকেয়া বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হয়।’

সার্বিক বিষয়ে হল প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) ফেরদৌস রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি হজের ছুটিতে ছিলাম, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। হলের সেকশন অফিসার রেজাউল ইসলাম লাবুর সাথে কথা বলতে পারেন।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট তাবিউর রহমান প্রধান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পদ না থাকায় হল ডাইনিংগুলোতে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া হলে অনাবাসিক ছাত্র বেশি থাকায় ফান্ডের অর্থ ঘাটতি আছে। তবে আশা করছি বিষয়গুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর