বাইরে থেকে তালাবদ্ধ গেট। ভেতর থেকে অসহায় ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে কুকুরটি। অপেক্ষা মুক্তির। অপেক্ষা সঙ্গীদের দেখা পাওয়ার। খাবার থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মনে হয় অভিমান করেছে। মুক্ত না হলে খাবেই না।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এ ঘটনাটি ঘটে। বিকেল বেলা কুকুরটিকে তালাবদ্ধ করে দারোয়ান চলে যায় নিজের বাসায়। কুকুরটি আটকা পড়ে সেখানে। ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আসেনি কেউ তালা খুলতে। এখনও সেখানেই আটকা পড়ে আছে কুকুরটি।
পরে খবর পেয়ে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদককে ফোন দেন আব্দুল্লাহ হিল বাকী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন কুকুরটিকে মুক্ত করার জন্য সেখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। প্রক্টরিয়াল টিমকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। তারা বলছেন এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে নেই।
এ নিয়ে আফ্রিদি নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কার্জন হলে যে কুকুরটি আটকা পড়েছে, ওটার বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ডিন তোফায়েল স্যারের সঙ্গে এবং বায়োমেডিকেল ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান কাদের স্যারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি ৷ চেয়ারম্যান স্যার আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে পিয়ন ভাই ৫০ মিনিটের মধ্যে চাবি নিয়ে আসবেন ৷ চাবি না নিয়ে আসা পর্যন্ত আমরা আছি এখানে। এছাড়া ওর খাবারের ব্যবস্থাও করেছি।
তিনি আরও জানান, এর আগে শহীদুল্লাহ্ হলের ভিপি ও জিএস ভাইসহ ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। এদিকে আগামীকাল সরকারি ছুটি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। তাই আজ রাতে উদ্ধার না হলে থাকতে হবে আরও একদিন।
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন সোমবার দিনগত রাত ১টার পর কুকুরটিকে তালাবদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়।