বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের গাড়িতে বসা নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজনই আহত হয়েছেন।
আহত দুজন হলেন, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির এবং শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ। দুজনেই সভাপতি শোভনের অনুসারী এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার শোভন ভাই মধুর ক্যান্টিনে আসেন। পরে যাওয়ার সময় তার সাথে গাড়িতে ওঠে ছাত্রলীগের অন্য দুই সিনিয়র নেতা জহির এবং আল নাহিয়ান খান জয়সহ আরও কয়েকজন। এদিকে গাড়িতে না উঠতে পেরে ঝামেলা করা শুরু করে বিদ্যুৎ। একপর্যায়ে শোভন অন্যদেরও গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এটাকে কেন্দ্র করে জহির এবং বিদ্যুতের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে দুজন দুজনকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে তেড়ে যান। পরে পাশে থাকা জুনিয়ররা থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দুজনের মাথায় আঘাত পান। বিদ্যুৎ প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য যান।
সূত্র আরও জানায়, এরপর শোভন আবার গাড়িসহ ফিরে আসেন। পরে জহিরকে তার গাড়ি করে বাসায় নিয়ে যান। বিদ্যুৎকে আগেই হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
আহত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ সাংবাদিকদের বলেন, শোভন ভাইয়ের আশেপাশে এরা কয়েকজন সব সময় থাকে। যাদের কারণে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এরা একধরণের সিন্ডিকেট করে এ কাজগুলো করে থাকেন। আমি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আমার উপর চড়াও হন।
বিদ্যুৎ আরও অভিযোগ করে বলেন, জহিরের পুরো পরিবার জামায়াত-শিবির। এরা শোভন ভাইকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করেন। এদের সাথে মূলত আমার আদর্শিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে গাড়িতে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত এটা তিনি অস্বীকার করেন। তার দাবি এটা সিন্ডিকেট-নন সিন্ডিকেট সমস্যা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরেক সহ-সভাপতি জহিরকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুজনকে আমি গাড়ি করে নিয়ে এসেছি।