হলের গেস্টরুমে বসা নিয়ে দলীয় কর্মীকে ছাত্রলীগের মারধর

বিবিধ, ক্যাম্পাস

রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-12-26 19:54:37

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক পক্ষের সাত কর্মীকে মারধর করে আহত করেছে অন্য পক্ষের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দু'দফায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মারধরের ঘটনায় আহতরা হলেন- ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের লিমন, দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন রিওন, মারুফ পারভেজ, রনি, জসিম, লোক প্রশাসন বিভাগের সোহেল, ইতিহাস বিভাগের রাজিব। এরা সবাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য বলে জানা গেছে। অপরদিকে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারীরা তাদেরকে মারধর করেন বলে জানা গেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগকর্মী কামরুল গেস্ট রুমে শুয়ে ছিলেন। এ সময় লিমন তার এক বান্ধবীকে নিয়ে হলের গেস্টরুমে যায়। লিমন গেস্টরুমে বসবে বলে কামরুলকে জায়গা দিতে বলে। এ নিয়ে কামরুল ও লিমনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কামরুল লিমনকে মারধর করেন। পরে লিমন তার বন্ধুদের নিয়ে কামরুলের কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে বিভিন্ন হলের নেতকার্মীরা মাদার বখশ হলের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত ও আরিফ বিন জহিন ঘটনাস্থলে এসে হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত ও আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, চঞ্চল কুমার অর্কের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকীর অনুসারীদের আবারও মারধর করেন।

এ বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। সেখানে একবছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। আমি শাখা ছাত্রলীগে কোনো পদ পায়নি। এক বছরের কমিটির প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতাকর্মীরা প্রায়ই আমার কর্মীদের মারধর করেন।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'লিমন আমার কর্মী কামরুলকে মারধর করেছে। এরপর কামরুল ও লিমনের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। পরে আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করি।’

তবে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি কর্মীদের ধাওয়া করে এবং তাদের রাস্তায় ফেলে মারধর করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা মারধরের বিষয়টি ভিডিও করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকেও ধাওয়া করেন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, 'গেস্ট রুমে বসা নিয়ে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে এ ঘটনা থেকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর