ডাকসুর নাটকীয় সংবাদ সম্মেলন!

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-26 06:24:22

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন ডাকসুর সদস্য মাহমুদুল হাসান। যেখানে ভিপি, জিএস-এর স্বাক্ষর ছিল না।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কনফারেন্স হলে সেটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরক্ষণেই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা এবং নাটকীয়তা। ডাকসুর পক্ষ থেকে একজন সদস্য কেন সংবাদ সম্মেলন ডাকবে এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে।

গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর পরই রাত ১০টার দিকে ভিপি নুরুল হক নুর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ডাকসুর পক্ষ থেকে কোনো সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়নি। যদি ডাকা হয় তাহলে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলন কেন ডাকা হয়েছিল এবং হবে না কেন এমন প্রশ্নে ভিপি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আমাকে একজন সাংবাদিক কল দেওয়ার পর আমি বিষয়টি জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে ডাকসুতে প্রতিনিধিত্ব করা সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে। তাই আমি দেখেছি বিষয়টি ডাকসুর সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়। এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে ডাকসুর নাম ব্যবহারের প্রশ্নই আসে না। এজন্য আমি জানিয়ে দিয়েছি- ডাকসুর পক্ষ থেকে কোনো সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়নি।'

এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ডাকসুর কনফারেন্স হলে পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ডাকসুর এজিএস গণমাধ্যমে বলেন, 'ছাত্রলীগের যে ৩৬ জন নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তা সত্য নয়। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি মেনেই ভর্তি হয়েছেন।'

ডাকসুর সংবাদ সম্মেলনে ভিপি-জিএস অনুপস্থিত কেন এমন প্রশ্নে সাদ্দাম বলেন, 'ভিপি বেশিরভাগ সময় নিজের ব্যক্তিগত কাজে ডাকসুর পদ ব্যবহার করেন। সে এসব প্রোগ্রামে সময় দেবে কীভাবে?'

জিএস রাব্বানী সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।'

রাব্বানীর নৈতিক স্খলন প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, 'ডাকসুর গঠনতন্ত্রে কাউকে অপসারণ করার মতো কোনো কিছু নেই। সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এখতিয়ার।'

পরক্ষণেই নিজ কার্যালয়ে ভিপি নুর সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকি এটা ছাত্রলীগের একধরনের গতানুগতিক মিথ্যাচার। তারা ডাকসু এবং ছাত্রলীগকে একটি অন্যটির পরিপূরক মনে করে। আমি আমার কক্ষেই ছিলাম। আমাকে ইনভাইট করলে আমি যাবো না কেন? আর আজকে যে সংবাদ সম্মেলন এটা ডাকসুর সংবাদ সম্মেলন নয়। এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমার যাওয়ার কোনো প্রশ্ন আসে না।'

প্রসঙ্গত, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ 'ভর্তি না হয়ে ডাকসু নেতা' এর পরিপ্রেক্ষিতে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। যেখানে দাবি করা হয় উপাচার্য বরাবর চিরকুট দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ছাত্রলীগের ৩৪ নেতাকর্মীকে সুযোগ দেওয়া হয়। যাতে কোনো ধরনের নিয়ম কানুন মানা হয়নি। যাদের সাতজন ডাকসুর সম্পাদক ও সদস্য এবং একজন এএফ রহমান হলের ভিপি। সেই বিতর্ককে ঘিরেই তারা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর