আবরার হত্যা: জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-28 23:11:22

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে।

এতে সড়কের দু'পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী নানা স্লোগান এবং বক্তব্য দেয় শিক্ষার্থীরা।

'গো ব্যাক ইন্ডিয়া', 'করাচি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা', 'পানিবন্দর নদীর দেশ, জবাব দেবে বাংলাদেশ', 'দেশবিরোধী চুক্তি, মানি না, মানব না', 'শহীদ আবরার দিচ্ছে ডাক, ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক' এমন নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে আবরারের হত্যাকারীদের ফাঁসি নিশ্চিতের দাবি জানান। অন্যথা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল-উজজ্জামন বলেন, 'সরকার দেশের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে ভারতকে পানি, বন্দর, গ্যাস দিয়ে দিয়েছে। আর যখনই এই দেশের মানুষ, সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের এই অপকর্মের বিরোধিতা করে তখনই তাদের ওপর হামলা করা হয়। তেমনি বুয়েটের আবরার যখন তাদের এই কাজের সমালোচনা করল তখনই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। আমরা বলতে চাই, যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আবরাররে হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ রাজপথ ছেড়ে যাব না।'

সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, 'দেশপ্রেমের কারণে আবরারকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এভাবে আমাদেরও মরতে হতে পারে। শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত দেশকে রক্ষায় ছাত্রসমাজ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। আবরার হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'

আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী খান মুনতাসির আরমান বলেন, 'আবরার অনেক মেধাবী ছিল সে অনেক জায়গাই পড়ার সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু সে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল। শুধুমাত্র একটি ভারতবিরোধী স্ট্যাটাসের কারণে ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হলো তাকে। আবরার খুনিদের বলেছিল আমাকে তোমরা মেরো না আমার কোন দোষ নেই, আমি কোনো অপরাধ করিনি। কিন্তু তারা তিন দফায় তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে মেরেছে। ২২ জন খুনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, কিন্তু মাত্র ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে সকলকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর