জাবির ঘটনায় রাবি শিক্ষকের প্রতিবাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।

এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তার সঙ্গে যোগ দেন। 'দুর্নীতি ও শিক্ষা একসঙ্গে চলতে পারে না, জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন'সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে তাতে আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। আজ আমাদের কোনো মর্যাদা নেই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই।' এ সময় তিনি জাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান।

এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান নীতিমালায় আর কেউ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ কয়েকজন শিক্ষক। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়' ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষকরা এ ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, 'বর্তমানে রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় মেধার কোনো বালাই নেই। উপাচার্য তার মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে আবেদন যোগ্যতা শিথিল করেছেন। স্নাতক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যারা প্রথম দিকে ছিল তাদের পরিবর্তে ৬৭ তম হয়েও উপাচার্যের জামাতা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে যারা এসব অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদেরকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। এতে আমরা পিছপা হব না, বরং আন্দোলন আরও কঠোর হবে।'

তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য একজনকে রাখা হয়েছে। তার মাধ্যমে উপাচার্য তার উদ্দেশ্য হাসিল করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কি যোগ্য লোকের অভাব যে অযোগ্যকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখতে হবে? রেজিস্ট্রারকেও পদত্যাগ করতে হবে।'

মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে র‌্যালি করেন শিক্ষকরা। কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একরাম উল্যাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা প্রমুখ।