জাবি আন্দোলনকারী চার নেতার বাসায় পুলিশ 'হয়রানির' অভিযোগ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফো.কম | 2023-09-01 00:35:55

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের চার নেতার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ির সদস্যদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এসব নেতারা।

রোববার (১০ নভেম্বর) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এ তথ্য জানান 'পারিবারিক হয়রানির' শিকার এ চার নেতা।

তারা হলেন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক, দপ্তর সম্পাদক হাসান জামিল, সদস্য রাকিবুল রনি। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর এর অন্যতম সংগঠক মুশফিক-উস-সালেহীন।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমার বাসায় পুলিশ গিয়েছে এবং নানা ধরনের তথ্য জানতে চেয়েছে। ফলে আমার পরিবার ভীতিসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র তদন্ত করতে চাইলে তার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু পুলিশ দ্বারা পরিবারকে এ ধরনের হয়রানিকে আমরা নিন্দা জানাই। এছাড়া আমাদের আরেক নেতা হাসান জামিলের বাসাতেও পুলিশ বাজে রকমের আচরণ করেছে। পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি তারা দিয়েছে। আমরা এ ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা জানাই পাশাপাশি মনে করি পুলিশি নির্যাতন ও অত্যাচার করে কখনো মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না।’

আন্দোলনের আরেক সংগঠক মুশফিক-উস-সালেহীন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পুলিশ আমার নানা বাড়িতে যেয়ে আমার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করেছে। ফলে আমার পরিবার এবং আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি। চলমান আন্দোলন যৌক্তিক কি যৌক্তিক না এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দোষী। ঊর্ধ্বতন যোগাযোগের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা মনে করি আন্দোলন যৌক্তিক এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না।’

এ ব্যাপারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘বিষয়টি হায়রানিমূলক ও আতঙ্কজনক। পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সন্তানকে বাসায় ফিরিয়ে নেওয়ার চাপ দিচ্ছে। আন্দোলনকে দমন করার এটা একটা ঘৃণ্য পন্থা। পুলিশকে দিয়ে এটা করানো হচ্ছে। আমরা মনে করি এর পিছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধন থাকতে পারে।’

বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা তো অনেক কিছুই দাবি করে। তারা ক্যাম্পাসের আইন লঙ্ঘন করে মিছিল মিটিং করছে। তাদের গ্রামে কি হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানে না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর