রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেনকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাক, হুমায়ন কবীর নাহিদ ও রবীন। তবে মামলার কথা জানাজানি হওয়ার পর গাঁ ঢাকা দিয়েছেন ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মী । তাদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর ঘটনায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকিমুল ইসলাম রিফাত, মো. হাসানুজ্জামান, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুজন আলী ও লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আসিফ।
তবে নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আটক চার জনের মধ্যে একজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। অন্যদের সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।’
জানা যায়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সোহরাবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের ২৫৪ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ ও নাহিদ। এতে সোহরাবের মাথায় ১৫টি সেলাই দেওয়া হয় এবং বাম হাত ভেঙে যায়।
ঘটনার পর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে। এ ঘটনা তদন্তে ছাত্রলীগও চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।