শাহবাগে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’

বিবিধ, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 13:50:40

নৈতিক স্খলন ও অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ চেয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মাসাধিক সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন আন্দোলন শাহবাগ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল চারটায় শাহবাগে সমাবেশ করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’। এ সময় আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার এবং ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে পদত্যাগ চান আন্দোলনকারীরা।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষক আনু মুহাম্মদ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলছে, সেই অভিযানের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আনু মুহাম্মদ বলেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের যদি সত্যতা থাকতো, তাহলে জাহাঙ্গীরনগরের ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের আন্দোলনকে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানাতেন। কিন্তু তা না করে তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে হুমকিমূলক কথাবার্তা বলেছেন। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি কোথায় কোন দুর্নীতি, কে কিভাবে করছে সে সম্পর্কে তিনি জানেন।

এরপর সংহতি বক্তব্যে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন ভিসিকে উদ্দেশ করে বলেন, কতটুকু নির্লজ্জ হলে একটা মানুষ এভাবে পদ আঁকড়ে থাকেন। প্রত্যেকটা মানুষ যখন তাকে দুর্নীতিবাজ বলছে, তখন তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন।

সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, ভিসির পদত্যাগ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তির সাথে সংযুক্ত। তাই আওয়ামী লীগের গ্রিন সিগন্যাল না পেলে তিনি পদত্যাগ করতে পারবেন না। এমন পরিস্থিতি তখনই হয় যখন ক্ষমতাসীনরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করে।

সংহতি বক্তব্যে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু বলেন, কতটুকু নিরুপায় হলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আন্দোলন শাহবাগের মত রাজপথে এসে করতে হয়। রাজপথ ব্যতীত এই আন্দোলনের কোন গতি নেই।

সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সরাসরি ছাত্রলীগ ও ভিসি লীগের পক্ষ নিয়েছে। ভিসি অপসারণ করার অনুরোধ জানিয়ে ডাকসু ভিপি আরো বলেন, অপসারণ আন্দোলন বেগবান করতে প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এছাড়া বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা জাহাঙ্গীরনগরের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ভিসিকে আইনি শাস্তি দেওয়াসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর