জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের এক দাবিতে অটল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে 'দুর্নীতিবিরোধী ইশতেহার' ঘোষণার সময় এ দাবির কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
এছাড়া উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে দুই দিনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে শিক্ষার্থীদের ওপরে ছাত্রলীগের একাংশের এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের হামলার স্থিরচিত্র প্রদর্শনী ও গণসংযোগ এবং ছাত্রী হলে নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও অর্থ লোপাটের প্রতিবাদে আগামী ১২ ডিসেম্বর বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন তারা।
‘দুর্নীতিবিরোধী ইশতেহার’ পাঠকালে ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘আন্দোলনের বর্তমান এক দফা দাবি হলো দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যের অপসারণ। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত স্পষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে উপাচার্যের নিষ্ক্রিয়তা, ছাত্রলীগের একাধিক নেতার স্বীকারোক্তি, মাস্টারপ্ল্যানে দুর্নীতি, সর্বোপরি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপরে এমন ন্যক্ক্যারজনক হামলা সংগঠিত করার পর উপাচার্য আর কোনোভাবেই তার পদে থাকতে পারেন না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর। কোনো ভিসি পতনের আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম না বরং উপাচার্যের অপসারণ আন্দোলনের একটি বিশেষ স্তরে আন্দোলনের মধ্যে থেকে উঠে আসা সর্বাত্মক কর্মসূচি মাত্র।’
এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রশাসনিক, একাডেমিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থনৈতিক হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, সংশোধন এবং যে কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়নে সকল অংশীজনের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করা এবং সমস্ত বাণিজ্যিক কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করার দাবি জানান।
দুর্নীতিবিরোধী ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক খবির উদ্দিন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু, অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার, অধ্যাপক তারেক রেজা, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।