রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অতিথি অনুপস্থিতি, খাবার সংকট ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় ছাত্রসমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
কলেজের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী রংপুর কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানকে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে কলঙ্কিত করা হয়েছে। সবগুলো ভবনে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হলেও দ্বিতীয় দিন সেগুলো খুলে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শত শত শিক্ষার্থী খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নকশা অনুযায়ী গোটা ক্যাম্পাসে ছয়টি গেট করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে দায়সারাভাবে ককশিট দিয়ে গেট করা হয়েছিল, যা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভেঙে ফেলে। অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সফল করার লক্ষ্যে ২২টি উপ-কমিটি গঠন করা হলেও সাবেক কোনো শিক্ষার্থীকে ওই কমিটিগুলোতে রাখা হয়নি।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ আনোয়ার হোসেনের কাছে মৌখিকভাবে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: কারমাইকেলের শতবর্ষ পূর্তিতে আসেননি আমন্ত্রিতরা
এ সময় বক্তব্য দেন- জাসদ ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি এহতেশাম জেমী, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিপ্লব, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আরিফ আলী, ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত লেলিন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কমিটি করা উচিত ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাধ্য-বাধকতার কারণে প্রশাসন ও শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।’
তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর আইনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে আমাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে। খুব শিগগির তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।’