কারমাইকেলের শতবর্ষ পূর্তিতে আসেননি আমন্ত্রিতরা



আদিব হোসাইন, বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সাজানো হয় কারমাইকেল কলেজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সাজানো হয় কারমাইকেল কলেজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর অঞ্চলের অবহেলিত মানুষকে আলোকিত করার প্রথম বাতিঘর সেখানকার স্থানীয় কারমাইকেল কলেজ। এ কলেজের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে শত শত খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের নাম। যারা বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন দেশ-বিদেশে। হাজারো শিক্ষার্থীর প্রাণের স্পন্দন এ কলেজ ১০৩ বছর অতিক্রম করে ১০৪-এ পা রেখেছে। ২০১৬ সালে শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের আয়োজন হবার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।

সব জটিলতাকে কাটিয়ে চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর দু‌‌‌’দিনব্যাপী শতবর্ষ পূর্তি উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। এরপরও বহু আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রাণের ক্যাম্পাসের টানে এসেছিলেন নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আসবার কথা থাকলেও কেউ আসেননি। এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খাবার না পেয়ে নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীরা কয়েক দফায় বিক্ষোভ করে। শুধু তাই নয় অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অগোছালো আয়োজনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতারা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিবকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল না কোনো অতিথি। শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত উপকরণ (টি-শার্ট, ব্যাগ) ছিল নিম্নমানের, শহরে নামকরা হোটেল থাকলেও কনফেকশনারির খাবার সরবরাহ করা হয়। অধ্যক্ষের ‘একগুঁয়েমি’ ও উদযাপন কমিটির দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরিফুল নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কোনো অতিথি ছাড়া হয়ে গেল কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ পূর্তি। ধন্যবাদ শিক্ষক পরিষদ ও কলেজ শাসনকে অতিথি ছাড়াই আমাদেরকে কপাল পোড়া করার জন্য। শুধুমাত্র টাকাকে হালাল করার জন্য এ প্রোগ্রাম। যদি কলেজ প্রশাসন কমিটির সব কাজ সব কমিটিকে মানভাবে ভাগ করে দিত, তাহলে আজ খাবার নিয়ে মিছিল করতে হতো না। নামমাত্র প্রোগ্রামে শিক্ষক মহোদয় বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে কালোকে সাদা করা যায়।’

২০০৭-০৮ সেশনের শিক্ষার্থী নুর আলম সিদ্দিকী বার্তা২৪.কম-কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর আগে অনুষ্ঠানটি হওয়ার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলাম যে হউক। কিন্তু আজ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে মনে হচ্ছে এরকম দায়সারা অনুষ্ঠান না হওয়াই ভালো ছিল। পুরো অনুষ্ঠানকে ঘিরে যে স্বপ্ন ছিল তা কল্পনাতেই রয়ে গেল।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক শিক্ষক বার্তা২৪.কম-কে জানান, অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্ত ও একগুয়েমিতার কারণে আজ এত বিশৃঙ্খলা। দফায় দফায় উদযাপন কমিটির সদস্য পরিবর্তন, অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূতভাবে দরপত্র আহ্বান, টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে জটিলতাসহ নানা সমস্যাকে দায়ী করছেন ওই শিক্ষক।

শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. আখতারুজ্জামান চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল। তারা রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেনি।’

   

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;

জাবিতে খাবার হোটেলে দাম বেশি রাখার অভিযোগ: ১৫ হাজার টাকা জরিমানা



মাহমুদুল হাসান, বার্তা২৪.কম, জাবি করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বটতলাস্থ ‘রাঁধুনী’ হোটেলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কাছ থেকে খাবারের দাম বেশি রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)।

শুক্রবার (৩ মে) বটতলায় এবং সালাম-বরকত হল সংলগ্ন খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ, মূল্য তালিকা পর্যবেক্ষণ ও হোটেল মালিকদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) জাবি শাখার উপদেষ্টা ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া।

অভিযান পরিচালনাকালে ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘রাঁধুনী’ হোটেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি এবং যথোপযুক্ত জরিমানা করেছি। প্রত্যেক দোকানে খাবারের মান ঠিক রাখতে সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত আমাদের এই অভিযান চলবে। ভবিষ্যতে পচা-বাসি খাবার খাওয়ানোর কিংবা দাম বেশি রাখার অভিযোগ পেলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বুধবার (১ মে) দর্শন বিভাগের এক অধ্যাপক ‘রাঁধুনী’ হোটেলে খাবার খেতে গেলে খাবার মূল দামের দ্বিগুণ রাখেন হোটেল মালিক রিপন মিয়া।

ভাউচারে দেখা যায়, ৩০ টাকা মূল্যের তিন প্লেট ভাতের দাম রাখা হয়েছে ৯০ টাকা। ৩৫ টাকা মূল্যের দইয়ের দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। ৬০ টাকা মূল্যের টেংরা মাছের দাম রাখা হয়েছে ৮০ টাকা। শাক ও কচুর লতির দাম ৮০ টাকা হলেও রাখা হয়েছে ৩শ ৪০ টাকা। ১শ টাকা মূল্যের দুই পিস রুই মাছের দাম রাখা হয়েছে ৩শ টাকা।

;