আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র থেকে অর্থের বিনিময়ে নতুন কমিটি আনার অভিযোগ এনে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চলতি কমিটিকে অবৈধ ও এর সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন একাংশের (পদবঞ্চিত) নেতাকর্মীরা।
এরপর মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে আসার সংবাদ পেয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার লক্ষে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন তারা।
অপরদিকে সভাপতি-সম্পাদককে নিরাপত্তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন তাদের অনুসারীরা। দু'গ্রুপের এই মুখোমুখি অবস্থানে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিবেশ বিরাজ করতে থাকে।
এরপর দুপুর ২টার দিকে দলীয় টেন্ট থেকে একাংশের (পদবঞ্চিত) নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকের দিকে গেলে সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের ওপর হামলা করে। দুই গ্রুপের এই সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় প্রধান ফটক এলাকা। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
পরে আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ও কুষ্টিয়া মেডিকেল প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের এ সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এর ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি তৎপর ছিল। এখন ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বভাবিক রয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে।'