‘অটিস্টিক শিশুরা সমাজেরই অংশ। অটিস্টিক শিশুরা কখনো কখনো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী। এই ধরনের শিশুদের তাই বিশেষ প্রয়োজন সম্পন্ন শিশু বা বুদ্ধিবৃত্তিক চাহিদাসম্পন্ন বলা হয়। যথাযথভাবে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক শিশুদের থেকেও পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে।’
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশাল নিডস এডুকেশন সেন্টারের আয়োজনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশ কেন্দ্র ‘আনন্দশালা’ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের জীবন-মান উন্নয়নে মমতার সাথে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে আনন্দশালা’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। তিনি বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোররা সমাজের একটি অংশ। তাদের জীবনকে এমনভাবে গড়তে হবে যেন তারা স্বাভাবিক জীবনের চাল-চলন অনুধাবন করতে পারে।’
সভাপতির বক্তব্যে স্পেশাল নিডস এডুকেশন সেন্টারের (এসএনইসি) পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের যত্নসহকারে শিক্ষাদান করলে তাদের অনেকখানি মানসিক উন্নয়ন ঘটবে।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় আনন্দশালা’র শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অটিস্টিক শিশুদের জন্য দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের স্কুল রয়েছে। ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর আনন্দশালার যাত্রা শুরু হয়।