গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) টানা ১৩ দিন ধরে আন্দোলন করছে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। বিভাগটি অনুমোদন দেয়াসহ যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণায় অনড় রয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা মেরে দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অগ্রযাত্রার ৩ বছর চলছে। আমাদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি নোটিশে ইতিহাস বিভাগের নাম স্পষ্ট উল্লেখ করা ছিল। একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন তার জানার কথা নয় বিভাগের অনুমোদন আছে কি নাই, সেটা তদারকি করা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাজ। এই ইউজিসির দায়িত্বহীনতার দায়ভার তো আমরা ৪১৩ জন শিক্ষার্থী নেব না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব জানান, ইতিহাস মানে বাংলাদেশ, ইতিহাস মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ অনুমোদনের জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে আমরা দ্রুত আমাদের একাডেমিকসহ সকল কার্যক্রম শুরু করতে পারি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির সঙ্গে আমাদের সভা হবে। আমরা এই সভায় আমাদের সকল সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।’
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চলতি ৩টি ব্যাচকে অনুমোদন দেয় ইউজিসি। পাশাপাশি আগামী বছর বিভাগটিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।