কেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গুরুত্বপূর্ণ

, যুক্তিতর্ক

ড. মাহফুজ পারভেজ | 2023-09-07 12:45:11

বৈশ্বিক রাজনীতিতে এশিয়া-প্যাসিফিক থেকে ইন্দোপ্যাসিফিক নামক ধারনা কাঠামো লাভ করায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের জন্যেও 'পূর্বমুখী কূটনীতি' এবং 'ব্লু ইকোনমি' বা 'সুনীল অর্থনৈতিক' সম্ভাবনাকে আলিঙ্গন করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এক তাৎপর্যবাহী অঞ্চল রূপে বিবেচনার দাবি রাখে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল গণচীনের দক্ষিণে, ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বে ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত দেশ ও অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তর সীমানায় পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ওশেনিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগর অবস্থিত।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ভূ–রাজনৈতিক সংহতি বর্তমান বিশ্বরাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য বিষয়। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব অনেক। ৬৫ কোটি মানুষের এ অঞ্চলের সম্মিলিত মোট নিজস্ব উৎপাদন প্রায় ৩ লক্ষ কোটি ডলার। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উচ্চ হার আগামী এক দশকে দ্বিগুণ হবে বলে প্রত্যাশিত। অঞ্চলের প্রায় ৪০ কোটি মানুষের বয়স ৩৫–এর নিচে। ফলে টগবগে জনশক্তিস্থল আর বিরাট বাজার হিসাবেও এ অঞ্চলের উপস্থিতি অগ্রগণ্যতা লাভ করেছে।

গবেষকরা বিশ্বাস করেন, অনিশ্চিত ভূ–রাজনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির পরেও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া বা অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট নেশনস (আসিয়ান)‌–এর দশটি দেশ ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক সংহতি নিয়ে, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কূটনীতির প্রসঙ্গে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া যে বিকল্পগুলো বেছে নেবে তা দ্রুত–পরিবর্তনশীল ও বেশি–করে উত্তেজনার কেন্দ্র হয়ে ওঠা ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিণাম নির্ধারণে সাহায্য করবে বলে মনে করা হয়।

কাজেই দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কী করছে, সেই সব প্রয়াসের সামনে কী কী সমস্যা আছে, কার্যকর ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত প্রতিযোগিতার মোকাবিলা ও নিরাপত্তার উপরেই বা তার কী প্রভাব পড়বে, তা পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

গত তিন দশকের মতো সময়কালে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মুখ্য বৈশিষ্ট ছিল অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি। মোটামুটি ২০ বছরে দ্বিগুণ আকার পেয়েছে এর অর্থনীতি। তবে এই বৃদ্ধি–সম্পাদনের উপাদানগুলো নানাবিধ ও জটিল। যেগুলোর কথা প্রায়শই বলা হয় তার মধ্যে আছে অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও সিদ্ধান্তসমূহ, মূলধনী ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে জাপানের অতি–গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (‌বিশেষ করে মধ্য–১৯৮০ ও ১৯৯০–এর দশকে)‌, ঠান্ডা যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্বায়ন, উৎপাদন ও সরবরাহ–শৃঙ্খল পাওয়ারহাউজ হিসেবে চীনের উত্থান, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোটের উপর উন্মুক্ত বাজার।

এই অঞ্চলের প্রায় সব দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে চীন উঠে এসেছে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাপানের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ তুলনামূলক ভাবে বজায় রয়েছে। একটি সাম্প্রতিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে যে, চীনের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মূল্য–শৃঙ্খল আসিয়ানের পক্ষে খুবই লাভজনক হয়েছে। অবশ্য ব্যবসা হল বাণিজ্যিক সহযোগিতার একটি দিকমাত্র, এবং তা ব্যবহারিক সহযোগিতার অন্য ধরনগুলোকে প্রচ্ছন্ন করে দিতে পারে।

বাজার ও উৎপাদন দক্ষতার সুযোগ নিতে আসিয়ান সবসময় অগ্রণী। বর্ধিত বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কুশলী ভূমিকা রয়েছে। ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক সহযোগিতা সরকারগুলোর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশ্বাস করে ব্যবহারিক সহযোগিতা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ আর ব্যবসা হল বাণিজ্যিক সহযোগিতার একটি ব্যবহারিক দিকমাত্র, যা ব্যবহারিক সহযোগিতার অন্য ধরনগুলোকে প্রভাবিত করে দিতে পারে।

তবে, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার প্রায় ২৫ বছরের শক্তসমর্থ বৃদ্ধি ও বর্ধিত আঞ্চলিক সহযোগিতার গতি রোধ করতে পারে এমন বেশ কিছু বিষয় চ্যালেঞ্জ রূপে এখন সামনে আছে। এই বাধাগুলোর কারণ আমেরিকা–চীন বিযুক্ত হয়ে যাওয়া, কোভিড–পরবর্তী অনিশ্চয়তা, সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থানান্তর ও ভাঙন, এবং আরও অনেক প্রবণতা। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াকে যদি গত ২৫ বছরে পরিলক্ষিত বলিষ্ঠ বৃদ্ধি ও সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়া ধরে রাখতে হয়, তা হলে অন্তর্নিহিত কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যেও মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে নজর দিতে হবে বলে গবেষকরা মনে করেন।

আসিয়ানের দিক থেকে প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈচিত্র ও গ্রহণসাধ্য নীতিগত বিকল্পসমূহ। দেখা যাচ্ছে যে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (‌আরসিইপি)‌–এর মধ্যে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সব সদস্য দেশ থাকলেও কম্প্রিহেনসিভ প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স–প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (‌সিপিটিপিপি)‌–এর মধ্যে সকলে নেই। আরসিইপি ও সিপিটিপিপি এই দুই ব্যবস্থারই লক্ষ্য হল আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন ও বৃদ্ধি। কিন্তু এই দুটোই যে সহাবস্থান করছে তার কারণ চীনের অর্থনৈতিক আচরণ, পুরো অঞ্চলটিকে নিয়ে ব্যবসাগত চুক্তিতে মার্কিন অনাগ্রহ, এবং চীন, তাইওয়ান ও ইংল্যান্ডের সিপিটিপিপি–তে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা।

তা ছাড়া বিশ্ব–পর্যায়েও অনিশ্চয়তা আছে, যেমন বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন (‌ডব্লিউটিও)‌–এর সংস্কার। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ‘‌রুলমেকার’‌ হওয়ার মতো ওজনদার নয়, বরং নিজের স্বার্থ রক্ষা করা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক নিয়মাবলির উপর নির্ভরশীল, এবং এই কারণেই অগ্রগতির অভাব ও বিতর্কিত ব্যবসায়িক জমানা এই দেশগুলির জন্য জটিলতা তৈরি করে। মূল কথা হল, একগুচ্ছ অনিশ্চয়তা ও জটিলতার কালো মেঘ জমছে, যার ফলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় কে জিতবে আর কে হারবে তার মানচিত্র এবং গত তিন দশকের আঞ্চলিক সংহতি ও বৃদ্ধির ইতিবাচক ধরনধারণ, এই দুটোই বদলে যেতে পারে।

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় আঞ্চলিক প্রয়াস হল রাজনৈতিক সংহতি। ২০২১ সালে কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তির ৩০ বছর পূর্ণ হল। তিরিশ বছর আগে আসিয়ান–এর আদি প্রতিষ্ঠাতা দেশগুলি চীনের বিপ্লবী ভূমিকা ও ভিয়েতনামের প্রভাব নিয়ে ভীত ছিল। এখন এই দুই দেশই অর্থনৈতিক ভাবে, কূটনৈতিক ভাবে এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

কম্বোডিয়া–কেন্দ্রীক ব্যবস্থাটি পথ তৈরি করেছিল আসিয়ান–এর তিনটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের। প্রথম, মূল আসিয়ানের প্রতিষ্ঠাতারা সদস্যতা প্রসারিত করে তার মধ্যে কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার ও ভিয়েতনামকে নিয়ে এসেছিলেন। দ্বিতীয়, অতীতে যারা প্রতিপক্ষ ছিল, যাদের সম্পর্কে সন্দেহের বাতাবরণ ছিল, তাদের সদস্য করার মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর আসিয়ান–নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলির বন্ধুত্বসুলভ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। আর তৃতীয়টি হল, অনেকের মতে আসিয়ান–এর ভৌগোলিক প্রসারণ এর সুসংহতিতে ক্ষয় ধরিয়েছে, যদিও ‘‌আসিয়ান প্রোজেক্ট’‌ এখনও এমন একটা মণ্ডলী তৈরি করার আশা করছে যার মধ্যে থাকবে রাজনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক–সাংস্কৃতিক রক্ষাকবচ উপাদান।

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াকে যদি গত ২৫ বছরে পরিলক্ষিত বলিষ্ঠ বৃদ্ধি ও সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়া ধরে রাখতে হয়, তা হলে অন্তর্নিহিত কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যেও মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু এই রাজনৈতিক সংহতির পথে বাধা হিসেবে আছে বেশ কিছু বিষয়। নতুন সব গোষ্ঠী তৈরি হতে শুরু করেছে, কারণ অনেক দেশই মনে করে আসিয়ান লক্ষ্যে ততটা স্থির নয়, শুধু আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর সমাধানের উপযোগী, আর সেখানে সদস্য দেশের সরকার বা জমানার উপরেও সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। নতুন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিকতম ও সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কোয়াড ও অউকাস (‌এইউকেইউএস)‌। এই সংগঠনগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে বা স্পষ্ট ভাবে আসিয়ান বা আসিয়ানের নেতৃত্বাধীন ইস্ট এশিয়া সামিট বা আসিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টারস মিটিং প্লাস (‌এডিএমএম প্লাস)–এর মতো‌ প্রতিষ্ঠানগুলোর জায়গা নিতে বা সেগুলোকে খাটো করতে চায় না। কিন্তু দৃশ্যত বা কার্যত এর পরিণতিতে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া বা তার বাইরের বড় শক্তিগুলো এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে চাইবে যার মাধ্যমে নিরাপত্তা, অর্থনীতি বা শৃঙ্খলার মতো নানাবিধ স্বার্থ এক সঙ্গে সাধিত হবে। কিন্তু অউকাস বা কোয়াড মোটেই দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক সংহতির পথে একমাত্র, বা এমনকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নয়।

আসিয়ানের দুর্বলতাও শুধু মায়ানমার বা দক্ষিণ চীন সমুদ্রের সমস্যার সমাধানে ব্যর্থতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পথ ও ভাগ্য বদলে দিচ্ছে তুলনামূলক অর্থনৈতিক শক্তি, অন্যান্য বড় শক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক–নিরাপত্তা সম্পর্ক, এবং এমনকি ঘরোয়া শাসনব্যবস্থার গভীরতর প্রবণতাগুলো। যেমন এক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে লাভবান হলেও অন্য অনেকে এই সব ক্ষেত্রে সামান্যই লাভ পাচ্ছে, এবং তারা অনেক বেশি নির্ভরশীল প্রাকৃতিক সম্পদ, পণ্য নিষ্কাশন ও ব্যবসার উপর। রাজনৈতিক–নিরাপত্তা ও কূটনীতিতেও এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর বেশি নজর কাড়তে পারে নতুন উদীয়মান কোনও দেশ।‌

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অন্যরা ভিয়েতনামের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াতে চাইছে। কাজেই শুধু এমন নয় যে নতুন পরিবেশে আসিয়ানের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ উঠে আসছে বা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বাইরের দেশ এসে নতুন নতুন গোষ্ঠী তৈরি করছে বলে এই অঞ্চলের উপর প্রভাব পড়ছে;‌ বরং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এমন পথ বেছে নিতে পারে যার জন্য রাজনৈতিক সংহতি আরও ভঙ্গুর ও পরিণতি অনাকাঙ্ক্ষিত হতে পারে।

সার্বিকভাবে, অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন /‌উন্নয়ন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রয়াস থেকে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অনেক ভাবে লাভবান হয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলে এখন নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যে গভীর অনিশ্চয়তা ও ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রয়াসগুলি এমন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যা কার্যকর সহযোগিতা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা, এবং কৌশলগত প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করা বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পক্ষে বিঘ্নকারক হতে পারে। সবকিছুর যোগফল এক করেও বলা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুকেন্দ্রে পরিণত হবে। যেসবের দিকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তির রয়েছে গভীর মনোযোগ ও পর্যবেক্ষণ। নিকট-প্রতিবেশী হিসাবে বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমস্যা ও সম্ভাবনাকে যথাযথ মূল্যায়ন করে জাতীয় স্বার্থের নিরিখে পদক্ষেপ গ্রহণে তৎপর হওয়া বাঞ্ছনীয়।

ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম; নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।

এ সম্পর্কিত আরও খবর