বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) অনলাইনে ‘সিওপি ২৬ এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল’ এর প্ল্যানারি সেশনে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম এবং সোলার মিনি গ্রিড প্রোগ্রামের মতো বেশ কিছু অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বায়ু ও বর্জ্য থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম প্রয়োজন- যেখান থেকে আর্থিক, কারিগরি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল এ কাজ করবেন এই আশাব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় ক্লীন ও গ্রীণ এনার্জী প্রসারের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ বিল্ডিং-এর ছাদ হতে সৌরবিদ্যুৎ নেয়ার জন্য নেট মিটারিং গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। ছাদ হতে সৌরবিদ্যুৎ -এর সক্ষমতা সংযোজন ১৬ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সেচ কার্যক্রমও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য, জ্বালানি ও পরিষ্কার প্রবৃদ্ধি মন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ার্টেং সভাপতিত্বে ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘সিওপি ২৬’ এ্যাম্বাসেডর কেন ও’ফ্লাহারটি সঞ্চালনা করেন। লাওস, মায়ানমার, ফিলিপাইন্স, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কানাডা, জাপান, এডিবি, আইরিনাসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি বক্তব্য প্রদান করেন।
‘সিওপি ২৬ এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল "উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কয়লা থেকে নবায়নযোগ্যগুলিতে রূপান্তর দ্রুত করার জন্য রাজনীতি, অর্থ ও প্রযুক্তি জুড়ে বিদ্যুৎ খাতের নেতাদের একত্রিত করবে’’। যুক্তরাজ্য সরকার যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক জলবায়ু ফিনান্সের আওতায় নতুন ক্লিন এনার্জি ইনোভেশন সুবিধাতে জিবিপি ৫০ মিলিয়ন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে ক্লীন পাওয়ার উৎপাদনে বিনিয়োগের হার দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা, বিনিয়োগে বেসরকারী খাতকে আকৃষ্ট করতে নীতি ও নিয়ামক কাঠামো উন্নয়ন করা, কয়লা অর্থনীতির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করা জনগণ ও সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করাসহ কেন্দ্রীভূত এবং বিকেন্দ্রীভূত ক্লিন এনার্জি সমাধানকে শক্তিশালী করে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন টেকসই, সাশ্রয়ী মূল্যের আধুনিক জ্বালানি পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন, এসডিজি-৭ অর্জন, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা করবে।