বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনায় আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সুপারিশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনামলে সম্পাদিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য একটি স্বনামধন্য আইনি ও তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি রেজুলেশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অন্যান্য চুক্তিগুলো আরও বিশ্লেষণ করার জন্য কমিটির আরও সময় প্রয়োজন।

পর্যালোচনা কমিটি এমন প্রমাণ সংগ্রহ করছে যা আন্তর্জাতিক সালিশি আইন এবং কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

‘এটি করার জন্য, কমিটিকে সহায়তা করতে এক বা একাধিক শীর্ষ-মানের আন্তর্জাতিক আইন এবং তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করছি,’ পর্যালোচনা কমিটি জানায়।

কমিটি জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত করতে চায় যে তদন্তগুলো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিশে গ্রহণযোগ্য হবে।

পর্যালোচনা কমিটি বর্তমানে বেশ কিছু চুক্তির বিস্তারিত তদন্তে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল ১২৩৪.৪ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
২. পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
৩. মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র
৪. আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র
৫. বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
৬. মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র
৭. মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস/এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র