বাজারে ভরা শীতকালিন সবজিতে। ফলে স্বস্তি মিলেছে কাঁচাবাজারে। অধিকাংশ সবজির কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। দাম নাগেলের মধ্যে থাকায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। তবে এখনও চাল ও তেলের দামে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বাজার ঘুরে দেখা যায়, লম্বা বেগুনের কজি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, গোল বেগুনের কেজি ৪০ টাকা থেকে ৫৪ টাকা, শিমের কেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, টমেটোর কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৬০ টাকা থেকে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা কেজি, ঝিঙ্গা-ধন্দল-চিচিঙ্গার কেজি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, মুলার কেজি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, পেঁপের কেজি ২৫ টাকা, প্রতিটি লাউ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, শালগম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আবদুল মালেক নামের এক ক্রেতা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বেশ কিছুদিন সবজির দাম কম। এই অল্প টাকায় সবজির বাজার শেষ করা যায়। সব সময় এমন দাম থাকলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হয়।
গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরো কমেছে। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে হল্যান্ডের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।
রাজধানীর বড় বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ৮০ টাকা কেজি, দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা কেজি। রসুন ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি, আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি শুল্ক এখনকার ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারিভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন, জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন এবং বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বর্তমানে চিকন চাল বলে পরিচিত মিনিকেট চালের দাম ৬২-৬৩ টাকা কেজি, আটাশ চালের কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৬৭-৬৮ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা কেজি, গুটি স্বর্ণ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়ামহল্লার দোকানে চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন অস্থিতিশীল সয়াবিন তেলের বাজার। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাসের মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪ বার দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে কমেনি দেশীয় বাজারে। বর্তমানে খুচরা বাজারে ৫০০ মিলি সয়াবিন তেলের বোতল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ১ লিটারে বোতল ১২০ থেকে ১২৭ টাকা। ২ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ২৪৫ থেকে ২৫২ টাকা। ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা।
বাজারে বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, লাল কক মুরগি ২০০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।