প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বাজারে চাল, তেল, ডাল, মাংস, সব কিছুর দামই লাগামহীন। সব কিছুর দাম বৃদ্ধির মধ্যে আলাদা শুধু সবজি। শীতের শুরুতে সবজির দাম কমতে থাকে, শীত চলে গেলেও বাজারে আগের মতোই ভরপুর রয়েছে শীতের সবজি। দামও কম।
তবে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে নেই চালের বাজার। কয়েকদিন পরপরই বাড়ছে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নাজিরসাহ ৬৭ থেকে ৭০ টাকা, আটাশ চালের কেজি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলের দাম নিয়ে বলার কিছু নাই। বাজারে আসলেই বোঝা যাবে। ৫০০ টাকা দিয়ে ৮ কেজি চালও হয় না। এই যদি দাম হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে! সরকার নাকি দাম কমানোর জন্য কত কিছু করছে, বাজারে এসে দেখি তার উল্টো।
চালের দামের মত তেলের দামও। আবারও বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশে সয়াবিন তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে বাজর ঘুরে দেখা যায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলে ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি।
এখনও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। প্রতিকেজি বয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, বড় কক মুরগি ২০০-২২০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি বা সোনালী মুরগির কেজি ৩৫০-৩৭০ টাকা। দেশি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দামও আগের থেকে বেশি। প্রতি কেজি বড় সাইজের রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, মাঝামাঝি সাইজের ২৫০ টাকা, ছোট সাইজের ২০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়ার ২৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়াও সব মাছে দাম আগের থেকে বেশি।
কিছুটা বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। আলুর কেজি ২০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ৯০ টাকা কেজি, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান রসুন ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি, দেশি নতুন রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
কয়েক মাস ধরেই সব ধরনের সবজির দাম কম। বাজারের নতুন এসেছে সজিনাডাঁটা। দামও বেশ চড়া, প্রতি কেজি সজিনাডাঁটা ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুনের কজি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, গাজরের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শিমের কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, টমেটোর কেজি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ টাকা থেকে ৫০, পেঁপের কেজি ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা, প্রতিটি লাউ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, করোলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।