দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সরকারের দেওয়া লকডাউনে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে, সবজি, কাঁচা বাজার, মাংস, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের। গত পাঁচ দিনে বাজার ভেদে মাছ, সবজি, মুরগি, গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ৪-৫ টাকা দাম বেড়েছে তেল এবং চিনির।
শুক্রবার (৭এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রায়ের বাজার এবং ফার্মগেট এলাকার কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০-৬৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা (আটি), পটল ৪৫-৫০ টাকা কেজি যা গত পাঁচ দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
কিন্তু কেজিতে ৫ টাকা দাম বেড়েছে তেল এবং চিনির। গত ৫-৭ দিন আগে তেল ১৩০ টাকা লিটার বিক্রি হতো ৫ দিনের ব্যাবধানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। চিনির দাম ৫ দিনের ব্যবধানে ৬০-৬৫ টাকা কেজি থেকে এখন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস ৫৮০-৬০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০-৪০ টাকা কেজি। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা।
ডিম প্রতি হালি ২৮-৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি।
বাজার করতে আসা ফার্মগেট এলাকার আব্দুল আজিজ বলেন, এই কয়দিনে কাঁচা বাজার বা সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। তবে বাজার ভেদে কেজিতে ২-৫ টাকা কম বেশি হয়।
ক্রেতা মুস্তাফিজ বলেন, আজকেই ঈদের বাজার করলাম গত ৫ দিন আগে যে চিনি কিনেছি ৬০-৬৫ টাকায় আজ কিনলাম ৭০ টাকায়। আগের চেয়ে দাম বেড়েছে।
মুদি দোকানে বাজার করতে আসা রতন বলেন, আজকে বাজার করলাম, সবকিছুর দামই একটু বেশি নিচ্ছে। চিনি এবং সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি বছরই ঈদের সামনে এসব পন্যর দাম বেড়ে যায়।
রায়ের বাজারের সবজি দোকানদার ইলিয়াস বলেন, আমাদের কেনা দিয়ে বেচা। বেশি দামে কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করি, আর কম দামে কিনলে কম। তবে এর মধ্যে কাঁচামালের দাম বাড়েনি। ঈদের আগে বা পরে বাড়তে পারে।
ইন্দিরা রোডের মুদি দোকানদার রফিকুল ইসলাম বলেন, চিনি এবং তেলের দাম বেড়েছে। গত ৫-৭ দিন আগেই তেল ১৩০ টাকা ছিলো, আর চিনি ৬০-৬৫ টাকা এখন প্রতি কেজিতে ৫ টাকা দাম বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনি সেভাবেই বিক্রি করি। দাম কম বাড়ার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
রায়ের বাজারের ব্যাবসায়ী সমিতির সদস্য কামরুল হাসান বলেন, কাঁচা বাজারের দাম ঠিক আছে, বাড়েওনি কমেওনি। তবে তেল চিনির দাম একটু বেড়েছে। প্রতিবছরই ঈদের সামনে এসব পণ্যের দাম একটু বাড়ে কারণ চাহিদা বেশি থাকে।