করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে সবজি, মাছ, মাংস, তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম। গত তিন দিনে বাজার ভেদে মাছ, সবজি, গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে তেল, মসুর ডাল ও মুরগির।
শুক্রবার (২৮ মে) সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, টাউন হল এবং ফার্মগেট এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি, ডিম প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, লাল শাক ১০ টাকা আটি, আলু ২০ টাকা কেজি, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, শসা ৫০ টাকা, চিনি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি যা গত কয়েক দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা। মুরগির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সয়াবিন তেল খোলা এবং বোতলজাত কেজিতে ৯ থেকে ১২ টাকা দাম বেড়েছে। গত ৩ থেকে ৫ দিন আগে তেল ১৪০ টাকা লিটার বিক্রি হতো ৩ দিনের ব্যবধানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ থেকে ১৫২ টাকায়। মসুর ডাল দেশি টা গত ৩ দিন আগে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা টাউন হল এলাকার হুমায়ূন বলেন, এই কয়েকদিন কাঁচা বাজার বা সবজির দাম তেমন টা বাড়েনি। তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। লিটারে ১ থেকে ২ টাকা বাড়া স্বাভাবিক কিন্তু ৯ থেকে ১০ টাকা বাড়া পুরোপুরি অস্বাভাবিক। তেলের দাম শীঘ্রই কমানো উচিত।
ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজার করলাম। গত তিন দিন আগে মুরগি কিনেছি ১৩০ টাকায় আজ কিনলাম ১৫০ টাকায়। হঠাৎ করেই দাম বাড়ায় বাজার করতে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবে বেশ কিছু দিন ধরে সবজির বাজার এক রকমই আছে।
মোহাম্মদপুরের সবজি দোকানদার হায়দার বলেন, মাল কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করি। মোকামে দাম বেশি হলে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় আবার বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। তবে ঈদের পর থেকে মালের দাম একটু বাড়তি।
মুদি দোকানদার রাইসুল ইসলাম বলেন, ডাল এবং তেলের দাম বেড়েছে। গত ২ দিন আগে তেল ১৪০ টাকা ছিল এখন লিটারে ৯ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনি সেভাবেই বিক্রি করি।
টাউন হল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য স্বপন খাঁন বলেন, কাঁচা বাজারের দাম ঠিক আছে, কিন্তু কিছু কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। তার মধ্যে অন্যতম তেল। সরকার চাইলে কমাতে পারে আবার বাড়াতেও পারে। আমাদের কোন হাত নেই।