পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেডকে সকল দায় থেকে মুক্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বিএসইসিতে জরিমানা মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
কোম্পানির সূত্রমতে, তালিকাভুক্তির পর পরই সিকিউরিটিজ আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে কিছু সমস্যা হয়েছে। ফলে কোম্পানির পরিচালকসহ কয়েকজনকে জরিমানা করে বিএসইসি। পরবর্তীতে কোম্পানি জরিমানা মওকুফের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। কোম্পানির শুনানি শেষে বিষয়টি সমাধান করে বিএসইসি। এখন সকল ধরণের অভিযোগ থেকে মুক্ত বিবিএস ক্যাবল লিমিটেড।
ক্যাবল খাতে ব্যাপক সুনাম আছে কোম্পানিটির। পুঁজিবাজারেও তালিকাভুক্তির আগ থেকেই ভালো ব্যবসা করেছে বিবিএস ক্যাবলস। তালিকাভুক্তির পরও সেই ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে পেরেছে কোম্পানিটি। ফলে বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশও দিচ্ছে।
সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস।
এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এই অর্থবছরে সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।
বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, নতুন হওয়ার কারণে সিকিউরিটিজ আইন নিয়ে আমাদের ধারণা পরিষ্কার ছিল না। জ্ঞানের পরিধি ও কম ছিল, ফলে শুরুতেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনগত বিষয়াবলি প্রতিপালনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।
তিনি বলেন, মূলত আমাদের জরিমানা করা হয় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু সেটি আসলে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিল না। বিষয়টি আমরা বিএসইসিকে অবহিত ও ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ওপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করেন।
এছাড়া অন্যান্যদের ওপর আরোপিত জরিমানার বিষয়টি ও সমাধান হয়েছে। এখন আর কোনো অমীমাংসিত বিষয় নেই বলে জানান আবু নোমান।
তিনি বলেন, বিবিএস ক্যাবলস তালিকাভুক্তির পর থেকেই প্রতি বছর ভালো প্রতিবেদনের জন্য করপোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, বিএসইসি আমাদের বিষয়গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে সমাধান করে দিয়েছে। ফলে এই সাথে সম্পৃক্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করি আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।