দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, সবজি, কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস, তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার দর ওঠানামা করলেও গত ৩ দিন ধরে পেঁয়াজ, চাল, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, আলু, ডাল, তেলসহ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদ বাগ ও রায়ের বাগ এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৫৮০-৬০০ টাকা কেজি, ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০-৬৫ টাকা কেজি, মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, লাল শাক ১০ টাকা আটি, আলু ২০ টাকা কেজি, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি। পটল ৪০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা কেজি, মুসুর ডাল প্রকার ভেদে ৭৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি, শসা ৫০ টাকা, চিনি ৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১৪০-১৫০টাকা লিটার। যা গত কয়েক দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন প্রায় দশ দিন ধরে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগি প্রায় পনের দিন ধরে ২২৫-২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম গত কয়েক দিন ধরে ওঠানামা করলেও চার দিন ধরেই ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত তিন দিনে পেঁয়াজ, মাংস, ডাল, চাল, তেলসহ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজার করতে আসা রায়ের বাগ এলাকার জাবেদ বলেন, এই কয়দিনে কাঁচা বাজার বা সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি।
বাজার করতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, কয়েক দিন ধরে মাংস, পেঁয়াজ, চাল, সবজি এসবের দাম বাড়েনি আবার কমেওনি, স্থিতিশীল আছে।
যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাঁচা বাজারের দাম ঠিক আছে। এখানে শুধু পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করে, তবে কয়েক দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন মালের আমদানি ভালো তাই বাজারে সব ধরনের মালের দাম ঠিক আছে, স্থিতিশীল আছে। আমদানি কমে গেলেই দাম ওঠানামা করে।