রাজা-বাদশা। এরা কোন দেশের রাজা কিংবা বাদশা নয়। নয় কোন মানুষের নামও। রাজা- বাদশা রংপুরের পীরগঞ্জের পশু চিকিৎসক শহিদ মিয়ার গৃহ পালিত উন্নত ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের নাম।
দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে নিজ বাড়িতে অতি যত্নে লালন পালন করেছেন তিনি। আদর করে এদের নাম রেখেছেন রাজা-বাদশা। ২৫ মণ ওজনের রাজার দৈর্ঘ্য ৭০ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৯৭ ইঞ্চি এবং ২২ মণ ওজনের বাদশার দৈর্ঘ্য ৬৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৬৮ ইঞ্চি। রাজার দাম হাকিয়েছেন ৮ লাখ ও বাদশার দাম ৬ লাখ টাকা। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রেতারা রাজা- বাদশাকে পছন্দ করে দামাদামি করছেন। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় আদরের রাজা-বাদশাকে বিক্রি করছেন না বলেও জানান পশু চিকিৎসক শহিদ মিয়া। পশু চিকিৎসক শহিদ মিয়া রংপুরের পীরগঞ্জের পাঁচগাছী গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে লক্ষ্য করে সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে রাজা-বাদশাকে লালন পালন করা হয়েছে। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পশুর হাট না বসায় লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
শহিদ মিয়া আরও বলেন, প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, গমের ভূষি, ছোলা, ভুট্টা, খেসারির গুঁড়া ও বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি সবজি খাওয়ানো হয় গরু দুইটিকে। প্রতি মাসে তার আয়ের একটা বড় অংশ রাজা-বাদশার পেছনে ব্যয় হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের মত রাজা-বাদশাকে লালন পালন করেছি। এ ধরনের ষাঁড় পালনে অনেক ব্যয়। লাভের আশায় পরিবারের সবাই মিলে পরম যত্ন করে ষাঁড় দুটিকে বড় করা হয়েছে। এদের চালচলন ও সুঠাম স্বাস্থ্য দেখে ষাঁড় দুটিকে তারা রাজা-বাদশা বলে ডাকেন।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, শহিদ অতি কষ্টে লাভের আশায় ষাঁড় দুটিকে বড় করেছেন। সম্পূর্ণ দেশিয় খাদ্য খাওয়ানোর ফলে তার ষাঁড়ের মাংস হবে সুস্বাদু। আমরা তাকে সব সময় টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছিলাম। সামনে কোরবানির ঈদ, তিনি যদি রাজা-বাদশাকে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন, তাহলে তার মতো এ অঞ্চলের অনেক কৃষক গরু পালনে উৎসাহ পাবেন। ফলে এ উপজেলায় সমৃদ্ধ হবে অর্থনীতির চাকা।
পশু চিকিৎসক শহিদ মিয়ার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা- ০১৭৫০-৯০৩৬১৩