ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার কারণেই রাজনীতি, শিল্প খাতসহ সবখানে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েছেন। সে লক্ষ্য অর্জনের পথে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। সরকার কি করবে, শুধু সেদিকে না তাকিয়ে যার যার অবস্থান থেকে আমরা নিজেরা যদি কিছু করি, সেটাই সফলতা। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ হবে।
‘স্বাধীনতার ৫০ বছর: দিনবদলে ৫০ নারী অগ্রদূত’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গোলাম মুর্শেদ। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর এফবিসিসিআই আইকন অডিটরিয়ামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উইমেন এন্টারপ্রিনিউয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (ওয়েন্ড)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দীন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না, জায়ান্ট টেক্সটাইলের পরিচালক শারমিন ইসলাম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ওয়েডের সভাপতি নাদিয়া বিনতে আমিন।
অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি বলেন, একজন নারীর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন মানুষ। নারীর পথে অনেক বাধা, যা তাকে নিজ শক্তি ও যোগ্যতায় জয় করতে হয়। পৃথিবীর যত সম্ভাবনা আছে তার বাস্তবায়ন করতে হলে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে এগিয়ে আনতেই হবে। বঙ্গবন্ধু সেই বৈষম্যহীন সমাজ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, ওয়ালটন আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। কয়েকদিন আগে সালমান এফ রহমান ওয়ালটন কারখানা ঘুরে এসেছেন। আমি আগেই সেখানে গিয়েছিলাম। এত সুন্দর ফ্যাক্টরি দেখে আমরা অভিভূত। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা সবাই একদিন ওয়ালটন ফ্যাক্টরিতে যাবো। কল্পনার চেয়েও সুন্দর একটা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরে তাদের পথ চলা শুরু হয়ে গেছে। দেশ তাদের কাছে অনেক আশা করে।
গোলাম মুর্শেদ তার বক্তব্যে আরও বলেন, মা, মাতৃভাষা, মাতৃভূমি আমাদের আবেগ। সেই আবেগের জায়গা থেকে আজকে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। নারীর আরেক নাম মা। আমাদের সবার সফলতার পেছনে আমাদের মায়েদের অবদান রয়েছে। দেশ পরিচালনার উচ্চপর্যায়ে আমরা তিনজন নারীকে পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একটি দেশে প্রথম তিন সারিতে যখন নারী নেতৃত্ব দেয়, তখন নারীর সফলতার আর অন্য কোনো উদাহরণ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
উদ্যোক্তা প্রকল্পকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আশা করছি ভবিষ্যতে উইমেন এন্ট্রাপ্রিনিওয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ)-এর মতো প্রোগ্রাম করবে।