করোনা মহামারির কারণে এবছরও আয়কর মেলা বসেনি রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে। করদাতাদের সুবিধার্থে প্রতিটি কর অঞ্চলে বসানো হয়েছে মেলার বুথ। এসব বুথে রিটার্ন দাখিল এবং পরামর্শ নেয়া যাচ্ছে।
১ নভেম্বর শুরু হওয়া মেলা ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো জমে উঠেনি। করদাতা কম আসায় বসে থাকতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। মেলা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সারাদেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে আয়কর দাতাদের মেলার আবহে রিটার্ন জমা নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-৫, কর অঞ্চল-১১, বিজয়নগরের কর অঞ্চল ৪ ঘুরে করদাতাদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। কর অঞ্চল-৫ এ বুথ বসানো হয়েছে ৫টি, কর অঞ্চল ৪ এ বুথ বসানো হয়েছে ৬টি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বুথগুলোতে গোল বৃত্ত দিয়ে করদাতাদের দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে এবং বুথগুলোতে গ্লাস লাগানো হয়েছে।
কর অঞ্চল ৪ এ রিটার্ন জমা দিতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকদিন ধরেই রিটার্ন দাখিল করতে আসতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে আসতে পারছিলাম না। আজকে আসলাম। আগেভাগে রিটার্ন জমা না দিলে শেষে আবার ঘুরতে হয়।
কর অঞ্চল ৫ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, এখন পযর্ন্ত করদাতাদের তেমন একটা সাড়া পাচ্ছি না। তবে সব সময় যেটা হয়, শেষ সময়ে এসে করদাতারা রিটার্ন দাখিল করে যান। আশা করছি এবারও তেমনটাই হবে।
এই কর অঞ্চলে মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৭ জন। ১৫ নভেম্বর পযর্ন্ত রিটার্ন জমা দিয়েছেন ১৫ হাজার ৫৯৩ জন। মঙ্গলবার দুপুর ২টা পযর্ন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৬ জন করদাতা।
অনলাইনে রিটার্ন জমা দেয়ার সুযোগ থাকায় বুথে করদাতাদের সংখ্যা কম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে ২০ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। পাঁচ হাজারের মতো করদাতা এরইমধ্যে ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন।