পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, মহামারির মধ্যে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। প্রণোদনার আশ্বাস পেয়ে ব্যবসায়িরা সাহস পেয়েছিল। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশে অর্থনীতি নেতিবাচক ছিল সেখানে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আইএমএফের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছিল।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি ) 'কোভিড-১৯ প্রণোদনা প্যাকেজ: প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার বিশ্লেষণ' শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগুন লাগলে যেমন বালতি লোটা যা পাওয়া যায়। তাতে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঝাপিয়ে পড়েন করোনার এই সময়েও দেশের অর্থনীতি ধরে রাখতে জনগণের ক্ষতি কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এটাতে কিছু ভুলত্রুটি ছিল। তবে এটি সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে তথ্য উপাত্তের অভাব রয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। আমি এটাকে সমর্থন করে বলি শুধু অভাব নয় যতটুকু আছে সেটার মান নিয়েও অনেক মহলে প্রশ্ন আছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি খুব দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হব। তবে এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মান্নান বলেন, আমাদের আরও সক্ষমতার প্রয়োজন। সমাজের সব জায়গায় সব কাজে ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমাদের দক্ষতার অনেক ঘাটতি রয়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে হবে। সেজন্য শিক্ষার বিস্তার আরও বাড়াতে হবে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইনট্রিগেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গুরুত্ব দিতে না পারলে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূল্যায়ন করা যাবে না। আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে এমন একটি ডায়নামিক অর্থনীতিতে অনুমান নির্ভর তথ্য উপাত্তের উপর কাজ করলে সেটা সুফল বয়ে অনবে না।
অনুষ্ঠানে ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম খোরশেদ আলম, অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাইরুজ্জামান মজুমদার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. কায়সার আহমেদ প্রমুখ।
দি সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশন (টিএএফ) র্যাপিড ও ইআরএফ যৌথভাবে এই ওয়েবিনার আয়োজন করে।