২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ৩ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়তে যাচ্ছে। এ খাতে ৩০ হাজার ৯১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।
আসছে বছরে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এডিপিতে খাতে ৬০টি প্রকল্পে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। জিওবি ফান্ড থেকে ৯ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩ হাজার ৫৭২ কোটি এবং পিএ (প্রকল্প সাহায্য) ১৪ হাজার ৭৩১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এসব প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ৯টি হচ্ছে পেট্রোবাংলার ৫টি, ব্লু-ইকনোমি সেল’র ২টি, বিপিসির একটি, ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিপ্তরের ১টি।
বিদায়ী অর্থবছরের (২০২১-২২) বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত ছিল ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থ বছরে সামগ্রিক এডিপি বাস্তবায়নের হার (জুলাই-এপ্রিল) ৬১.৯৯ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল এই খাতে। ওই অর্থ বছরে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯-২০ এর তুলনায় পরের বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি ৮.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি হলেও বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা কম প্রস্তাব করা হয়।
এই খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকেই সুচক নিম্নগামী। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ২৪ হাজার ৯’শ ২১ কোটি টাকা। পরের বছর বাজেটের (২০১৯-২০) আকার বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আনুপাতিক হারে বাড়াতে হলে সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল।
সরকারের বড় সাফল্য হচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎকে এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উৎপাদন করার সক্ষমতা থাকলেও অনেক সময় সরবরাহ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চালন ও বিতরণকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১৪.৩৩ থেকে কমে ৮.৪৮ শতাংশে হয়েছে। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। তবে সামগ্রিক বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে জ্বালানির বাজারে নানা রকম সংকট দেখা দিয়েছে। একদিকে যেমন মূল্য একটি ইস্যু একই সঙ্গে পণ্যটির সরবরাহ চেইনেও নানা সমীকরণ রয়েছে। মূল্য জনগণের হাতের নাগালে রাখতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।