বাংলাদেশে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভিশনারী ও সাহসী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ‘পঞ্চম এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিলের মন্ত্রী পর্যায়ের সভা’য় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বংলাদেশ সবুজ জ্বালানির ব্যাপক প্রসারের জন্য কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল ও ক্লাইমেট ফান্ড সহযোগিতা করলে এলক্ষ্যমাত্রাকে দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় সবুজ জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। খসড়া এই মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণের নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প পরিস্কার হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায়ও বাংলাদেশ পরিস্কার জ্বালানির রূপান্তরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ৭৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এরমধ্যে ৫৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সৌর হতে আসে । ২০২৫ সালের মধ্যে ২৮ টি নির্মাণাধীন সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে আরও প্রায় ১৪’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ১২ শতাংশ জনগণকে ৬.০২ মিলিয়ন সোলার হোম সিষ্টেমের মাধ্যমে ক্লিন বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। ছাদে সোলার সিষ্টেমের মাধ্যমে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেট মিটারে সংযুক্ত রয়েছে। সৌর সেচ পাম্প ও দশমিক ৩ মিলিয়ন সোলার স্ট্রিট লাইট রয়েছে। অনশরে উইন্ড পাওয়ার প্রজেক্ট নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল চার্জিং নির্দেশিকা পরিবহণ খাতেকে ডি-কার্বনাইজ করতে কার্যকর অবদান রাখবে।
যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল বিভাগের প্রতিমন্ত্রী গ্রেগ হ্যান্ডস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য অলোক শর্মা, নাইজেরিয়র বিদ্যুৎ মন্ত্রী গদি যেদি আগবা, মরক্কোর টেকসই উন্নয়ন মন্ত্রী বেনালী, লাওসের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপমন্ত্রী সুফানউভং, কেনিয়ার কেবিনেট সেক্রেটারী জুমা সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।