বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কোইচেরো নাকাজায়া সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (১৫ জুন) সচিবালয়স্থ প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে পারার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে জাইকা আরো অবদান রাখতে পারে। ২০৪১ সালের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাথে শিল্পের বৈচিত্রময়তা বাড়ানো প্রয়োজন। মধ্যম আয়ের দেশের জন্য নগরায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়াও বেশ কঠিন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাপেক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মসৃণ রূপান্তর মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কাযর্ক্রম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি খাতে জাইকা আরো অবদান রাখতে চায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কয়েকটি বেসরকারি জাপানীজ কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে জাইকার অবদান স্মরণ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু। ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাপানের আরো সহযোগিতা চাই। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়টি থাকতে পারে। জ্বালানির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যথাযথ প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা যেতে পারলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পাওয়া যাবে। সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সরবরাহের চ্যালেঞ্জের সমাধানে এই মহাপরিকল্পনা থাকা উচিত।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সক্ষমতা বৃদ্ধির আওতায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মাহবুব হোসেন ও বাংলাদেশের জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হয়োকায়া উপস্থিত ছিলেন।