ডলারের রিজার্ভ নিরাপদ রাখতে ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ডিজেল দিয়ে কমবেশি ১০৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হলে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হবে। শিল্প কারখানা যুক্ত থাকা লাইনে লোডশেডিং না করে আবাসিক ও বাণিজ্যিকে (১১ কেভি) লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিজেলের পাশাপাশি স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দামে এলএনজি আমদানি না করার পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সার্বিক জ্বালানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে অফিস আওয়ার এগিয়ে আনা, যানবাহনে জ্বালানি সাশ্রয় করতে কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহার কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একাধিক কর্মকর্তার জন্য পৃথক গাড়ি ব্যবহার না করে কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ব্যবহার করা যায় কিনা তার সম্ভব্যতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একান্ত অপরিহার্য না হলে সব বৈঠক ভার্চুয়াল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিপিসিকে মোট আমদানির ২০ শতাংশ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।