বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্মার্ট গ্রিড নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়েও এটি কার্যকর অবদান রাখবে। একই সাথে সময় ও অর্থের সাশ্রয় ঘটবে।
বুধবার (২০ জুলাই) বিদ্যুৎ ভবনে স্মার্ট গ্রিড রোডম্যাপ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে সাশ্রয়ী কার্যক্রম এখন সময়ের দাবি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সকলকে উৎসাহিত করতে হবে। স্মার্ট গ্রিড আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় কীভাবে সহযোগিতা করবে তা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করাও আবশ্যক।
স্মার্ট গ্রিড রোডম্যাপ সংক্রান্ত কারিগরি সহযোগিতার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাওয়ার সেলের চুক্তি হয়। এর প্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ হতে বিসিজি কাজ শুরু করে। ২০ জুলাই তাদের কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ, সমন্বিত নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, গ্রাহকদের কার্যকর সম্পৃক্ততা ও প্লার্টফর্ম-এই পাঁচ প্রধান খাতকে প্রাধান্য দিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। কর্মশক্তির সক্ষমতা, সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্লার্টফর্ম ও তথ্য, বিদ্যমান মান ও আইন, বিদ্যুৎ অবকাঠামো ও অর্থায়ন-এই বিষয়গুলো সমীক্ষাটির নেপথ্যে কাজ করবে। বিদ্যমান উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায়- কম্পাঙ্ক ব্যারিয়েশন, উচ্চকম্পাঙ্ক, সঞ্চালন লস, ম্যানুয়ালি সঞ্চালন পরিচালনা, পাওয়ার ইন্টারাপশান ও বিদ্যুতের মান প্রভৃতি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২৮টি উদ্যোগের কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিসিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনির ও অংশীদার এমাজিংক মার্কেটস সুধাংশু গুপ্তা।
সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরক্ত সচিব মু: মোহসিন চৌধুরী, পিডিবির চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।