ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত সিটিস্কেপ টাওয়ারে ইন্দোনেশিয়া- মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ভিত্তিক এক আন্তর্জাতিক সামিট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যেখানে কারিগরি আলোচনা ও সংযোগমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে প্রাইভেট পর্যায়ে বিনিয়োগের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরা হয়। এই ইভেন্টটির আয়োজন করে ঢাকা ভিত্তিক স্বনামধন্য কন্সট্রাকশন ও রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি এর সেবার আওতায় থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে উদ্ভাবনী কার্যক্রম ও টেকসই গ্রিন প্রযুক্তির মাধ্যমে মেগা পর্যায়ের বিশাল ও জটিল সব কাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সুপরিচিত। এই সেমিনারে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দিকটি তুলে ধরা হয়। এখানে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ হতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রক্রিয়া এবং সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়৷
সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ( সি আই এল) এই কোম্পানির অর্জনসমূহ ও সিটিস্কেপ লাইফস্টাইল প্রজেক্টের মূল ধারণাটি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করে। তাদের এই নতুন প্রজেক্টটি খুশি আর ভালো থাকার বার্তা ছড়িয়ে দেয়া ও এর সেবার আওতায় থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এই সামিটে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এবং এই স্বনামধন্য কোম্পানির নতুন প্রকল্প- সিটিস্কেপ লাইফস্টাইল প্রজেক্টে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা চুক্তি বা মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরিত হয়েছে। সামিট চলাকালীন সময়ে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই তিনদেশের আন্তঃদেশীয় বাজারে বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সূচনা ঘটানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
এই সামিটে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার মাননীয় রাষ্ট্রদূত মি. হেরু হারতানতো সুবল, ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন বাণিজ্য মন্ত্রী মি. গীতা ইরাওয়ান উইরজাওয়ান, ইন্দোনেশিয়ার লাবুয়ান আইবিএফসি- এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিইও ইস্কান্দার বিন মোহাম্মাদ নুলি, সিটিস্কেপ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ সারোয়ার এবং সিটিস্কেপ গ্রুপের পরিচালক পাভেল সারোয়ার ও মুস্তাফা মইন সারোয়ার বক্তব্য রাখেন ও তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকেরা আর বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (BIDA), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি ( BEZA), ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ( FBCCI), বিভিন্ন ব্যাংক, ও নন-ব্যাংকিং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।