জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অঞ্চলে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। উক্ত সময় দেশের উত্তর অঞ্চল (রাজশাহী, রংপুর) ও দক্ষিণ অঞ্চলের (খুলনা, বরিশাল) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল।
দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। রাত ৯টায় সিস্টেম জেনারেশন ৮,৪৩১ মে,ও. এবং ক্রমান্বয়ে জেনারেশন বৃদ্ধি করে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান আছে।
জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ জেনারেশন কেন্দ্র সমূহ (ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, মেঘনাঘাট, হরিপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ ইত্যাদি) চালু করে ধীরে ধীরে সিস্টেম স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঢাকায় ২৩০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ১৭৫০ সরবরাহ করা হচ্ছে। ঢাকায় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ উদঘাটনের জন্য পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ডডি) ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকেও আরও দুটি কমিটি গঠন করা হবে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্মানিত গ্রাহকদের একটু ধর্য্য ধরার জন্য অনুরোধ করে বলেছেন, পাওয়ার গ্রিড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন, দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য তিনি এসময় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সবসময় গ্রাহকদের পাশেই থাকবো।