মাতারবাড়িতে কয়লার পরিবর্তে ৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আগ্রহী সিঙ্গাপুর কোম্পানি, এতে সায় রয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও। শিগগিরই এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর ) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর সরকারের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের পরিবহন ও ব্যবসা সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী এস ইশ্বরণ তার দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরিবেশ ইস্যুতে বিতর্ক শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ ১০টির মতো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে আসে। তারমধ্যে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিও ছিল, তারা এখন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আরও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। এলএনজি টার্মিনাল, অটোমেশন ও আইটি খাত, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট দ্রুত সরবরাহ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট থাকলে এসব কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
সিঙ্গাপুরের পরিবহন ও ব্যবসা সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী এস ইশ্বরণ বলেন, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্যই আমার এই সফর। অবকাঠামো ট্রাস্টির আওতায় বিনিয়োগ কার্যক্রম বাড়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিমানবন্দরে সৌরবিদ্যুৎ বা ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ বা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেতে পারে। এসময় ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ক্লিন এনার্জির বিস্তার, বিনিয়োগ, কারিগরি সহযোগিতা ও তহবিল সংগ্রহসহ বৈশ্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত (নন রেসিডেন্ট) ডারেক লহ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের কনসুলেট শীলা পেল্লাই, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী এ.এম. খোরশেদুল আলম ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।