সব জায়গাকে ঢাকা বানাতে যাবেন না। শহরের সুবিধা গ্রামে নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর ) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাটির গুণাগুণ, ভূ-দুর্যোগের ঝুঁকি বিবেচনা করে টেকসই নগর পরিকল্পনা এবং ব্লিডিং কোড অনুযায়ী স্থাপনা নির্মাণকে গুরুত্ব তুলে ধরা হয় সেমিনারে। জিএসবি ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বিজিআর যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাম বদলে শহর হচ্ছে, শহর মেগা শহরে পরিণত হচ্ছে। মাতারবাড়িতে পৌনে ২০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করতে হয়েছে ভূমি উন্নয়নে, পরে জানলাম জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের চট্টগ্রাম ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে আমরা বড় বড় ভবন করলাম।
প্রতিমন্ত্রী জিও ইনফরমেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, আমরা এসব তথ্য ব্যবহার করব কি না, সেটি বড় বিষয়। আমি মনে করি এগুলো ধরে পরিকল্পনা করতে হবে। ঢাকার আশপাশে জমি ভরাট করে আবাসন হচ্ছে, গণপূর্ত আবাসন করছে, এখানে কি জিও ইনফরমেশন বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে! যেখানে যাই হোক জিও ইনফরমেশন বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার জিএসবি করেছে, এখন যমুনার বালি নিয়ে কাজ করছে। সেখানে অনেক মূল্যবান খনিজ রয়েছে। আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জিএসবিকে ভূমিকা রাখা উচিত।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার বক্তৃব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের (জিএসবি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
সেমিনারে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বিবেচিত। শহরে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে। এ ধরনের নগরায়ন দীর্ঘ মেয়াদে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভূ-স্তরের উপরিভাগ, নিম্নভাগ, ভূতাত্ত্বিক উপাত্ত, গঠন প্রকৃতি, দুর্যোগের উৎসের পূর্ণবিবরণ জানা জরুরি।
জিএসবি ও বিজিআর যৌথভাবে জিওএইচপিএসি নামে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়েছে। বরিশাল, খুলনা সিটি করপোরেশন এবং সাতক্ষীরা ও ফরিদপুর পৌরসভার আশপাশে ভূপ্রকৌশল কূপ খনন ও অন্যান্য জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়।